চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের স্বল্পমেয়াদি ৮ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে চার উপদেষ্টাকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়ার পর এবার নতুন করে আটটি স্বল্পমেয়াদি অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত ড্রেনেজ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দল এ কর্মপন্থা তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার অনুমোদনের পরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, বর্ষার আগে দুই মাসের মধ্যে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে।

সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকা বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নির্দেশে চার উপদেষ্টাকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার বর্ষার আগে জলাবদ্ধতা কমাতে বিশেষজ্ঞ দল নগরীর বিভিন্ন খাল-নালা পরিদর্শন করে আটটি স্বল্পমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ড্রেনেজ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা এক সপ্তাহ ধরে নগরীর নদী, নালা ও খাল পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছি। স্বল্পমেয়াদে কীভাবে জলাবদ্ধতা দুই মাসের মধ্যে সহনীয় করা যায়, তা বের করেছি। আটটি কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।’

স্বল্পমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা
চাক্তাই, রাজাখালী, মহেশখালীসহ ১০টি খালের নিচ থেকে মাটি অপসারণ।
নয়টি খালের মুখ পরিষ্কার করা।
বালির ফাঁদ স্থাপন।
বাসাবাড়ির বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন।
নগরবাসীকে খাল-নালায় আবর্জনা না ফেলতে সচেতন করা।

পরিবেশকর্মী শাহরিয়ার খালেদ বলেন, ‘আমরা এক সময় খাল রক্ষায় আন্দোলন করেছি। নগরীর প্রায় সব খাল ঘুরে দেখেছি। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’

চসিক মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরবাসীকে অনুরোধ করবো খাল ও নালায় ময়লা না ফেলতে। তারা সচেতন হলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে।’

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছি আবর্জনার কারণে। বাসাবাড়ি থেকে আসা বর্জ্য জলাবদ্ধতা নিরসনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

বর্তমানে চসিক ৩৬টি খালের পাশাপাশি ২১টি খাল ও নালা নিয়ে কাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই নতুন কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে।