ঈদের ছুটি: বান্দরবানের ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল আগাম বুকিং দিয়েছে ভ্রমণপ্রত্যাশিরা

ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক সরকারি ছুটিতে বান্দরবানে আগাম হোটেল বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের ৪০-৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছে ভ্রমণপ্রত্যাশিরা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এ তারিখ ধরে আগে পাঁচদিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ হিসেবে কাগজপত্রে ২৯ মার্চ শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একইদিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। ফলে বাস্তবে ছুটি শুরু হচ্ছে ২৮ মার্চ থেকে ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। তারপর দুদিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে ২-৬ এপ্রিল পর্যন্ত বান্দরবানের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের ৬০-৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছে ভ্রমণপ্রত্যাশিরা। ফলে এ মৌসুমে ভাল ব্যবসার প্রত্যাশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো. জাফর উল্লাহ জানান, ২-৭ এপ্রিল পর্যন্ত তার হোটেলের প্রায় ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী দিনগুলোতে শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে যাবে।

হোটেল হিল ভিউর ফ্রন্ট ডেক্স ম্যানেজার মো. তৌহিদ পারভেজ জানান, আগামী ২, ৩ ও ৪ এপ্রিল হোটেলের ৬০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে নিয়েছে ভ্রমণপ্রতাশিরা। ঈদের যে কদিন সময় আছে এরমধ্যে বুকিংয়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

হোটেল হিল্টনের ম্যানেজার আক্কাস উদ্দিন সিদ্দিকি জানান, এরমধ্যে ২-৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকড হয়ে গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালির ম্যানেজার মো. সুমন জানান, ৩-৪ এপ্রিলের জন্য তার হোটেলের ৪০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ছুটির কারণে পর্যটকরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন। পর্যটকদের সার্বিক সেবা নিশ্চিত করতে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে বেশ পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করবে।