চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে চবি ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, খ্যাতমান গবেষক ও ইতিহাসবিদ এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো এর স্মরণ সভা সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চবি শহীদ হৃদয় চন্দ্র তড়ুয়া ভবনের ইতিহাস বিভাগের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

চবি উপাচার্য তাঁর ভাষণের শুরুতে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, গুণীজনরা কখনো মৃত নয়। তাঁরা আমাদের মাঝে তাঁদের রেখে যাওয়া স্মৃতির মাধ্যমে জীবিত রয়েছেন। ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো এরমধ্যে একজন। তিনি আমাদের মাঝে তাঁর কর্মের মাধ্যমে বেঁচে আছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আলোকিত করেছে এমন অনেক গুণী শিক্ষক রয়েছে, যেমন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, প্রফেসর আব্দুল করিম, প্রফেসর আনিসুজ্জামান, প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের নাম উল্লেখযোগ্য। উপাচার্য আরও বলেন, যোগ্য শিক্ষকরাই যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে। এজন্য আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক নীতিমালা পরিবর্তন করে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। উপাচার্য মরহুম ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো এর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুণী শিক্ষক হওয়ার যা কিছু প্রয়োজন তা সুনীতি স্যারের মধ্যে ছিল। তিনি একজন গর্বিত শিক্ষক ও পাশাপাশি অনেক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করে গেছেন। সুনীতি স্যার বাংলাদেশের ইতিহাসকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জ্ঞান গবেষণা করে গেছেন। তিনি স্যারের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আসমা বিনতে শফিক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবি ইতিহাস বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শামীমা হায়দার। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নূরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো এর জীবন ও কর্মের ওপর শিক্ষার্থীদের নির্র্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।











