বান্দরবানের লামা উপজেলায় স্বামীর সহযোগিতায় স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে স্বামী রুবেলসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম স্ত্রী। লামার মিরিঞ্জা এলাকায় মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ভিকটিমের স্বামী রুবেল ও তার বন্ধু সাগরকে আটক করেছে।
ভিকটিম পুলিশকে জানায়, তার স্বামীর সহায়তায় ৫ জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করেছে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টের নৈশ প্রহরী রুবেল তার স্ত্রীকে নিয়ে শনিবার (৮ মার্চ) রিসোর্টে যায়। সেই রিসোর্ট থেকে তাকে অন্য আরেক রিসোর্টে নিয়ে পাঁচ ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরে সোমবার স্বামীসহ ফিরে যান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার লামা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন ওই নারী।
ধর্ষিতা স্ত্রী শনিবার (৮ মার্চ) থেকে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করলেও পুলিশের তথ্য বলছে ঘটনা রবিবার (৯ মার্চ) থেকে। গতকাল মঙ্গলবার রিসোর্ট থেকে মুক্ত হয়ে ধর্ষিতা নারী লামা হাসপতালে চিকিৎসা নেয়। পুলিশ ধর্ষণের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এদিকে ধর্ষিতার স্বামী রুবেল হোসেন সোমবার একটি গোপন ভিডিও করে। সেখানে দিনের বেলায় একটি কটেজ থেকে স্থানীয় এক যুবককে বের হয়ে আসতে দেখা যায়। তার কিছুক্ষণ পর রুবেলের স্ত্রীকে বের হতে দেখা যায় ভিডিওতে। গোপনে ভিডিওটি ধারণ করেন রুবেল নিজেই। সেখানে সে এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য বলতে থাকে, তার ছোট স্ত্রী অন্য লোকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে।
মিরিঞ্জা ভ্যালি রিসোর্টের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, রমজান মাসে আমাদের রিসোর্ট বন্ধ। আমাদের নৈশ প্রহরী রুবেল কখন তার স্ত্রীকে নিয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি আমি জানি না। এ ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার রুবেলের।
লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী গতকাল মঙ্গলবার মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি তার স্বামী রুবেলকেও অভিযুক্ত করেন। ভিকটিমের স্বামী রুবেল লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার বাসিন্দা।