আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবিবার(৯ মার্চ)। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। রোহিত শর্মারদের বিপক্ষে এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউইদের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তবে এরপর বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। পরে ডেরিল মিচেলের ৬৩ ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আগে ব্যাট করতে নেমে রবিবার(৯ মার্চ) শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই খেলেছেন রবীন্দ্র। ইয়াংকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তিনি স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ৫৭ রান। এরপর বরুণের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন ইয়াং। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ১৫ রান করেছেন ইয়াং।
ইয়াং ফেরার পর ক্রিজে রবীন্দ্রর সঙ্গী হন কেইন উইলিয়ামসন। সেমিফাইনালে এ দুজন মিলে বড় জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেও রবিবার(৯ মার্চ) আর তা হয়নি। বরুণের পর কিউইদের ব্যাটিং লাইন আপে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ।
দলীয় ৬৯ রানে কুলদীপের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রবীন্দ্র। ফেরার আগে তিনি ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান। এরপর উইলিয়ামসনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, বড় ম্যাচে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়ে কিউইদের সাবেক এই অধিনায়কও সাজঘরে ফিরেন কুলদীপের শিকার হয়েই। ফেরার আগে তিনি ১৪ বলে করেন ১১ রান।
এরপর টম ল্যাথামও আজ হতাশ করেছেন দলকে। ৩০ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হন দলীয় ১০৮ রানে। ল্যাথাম ফেরার পর গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মিচেল। এ দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫৭ রানের জুটি। তবে ৫২ বলে ৩৪ রান করে ফিলিপ্স বরুণের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ফিলিপ্স ফেরার পর ব্রেসওয়েলের সঙ্গেও ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মিচেল।
দলকে পথ দেখানোর পথে তিনি খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। ১০১ বলে ৬৩ রান করে তিনি আউট হন মোহাম্মদ শামির বলে। এদিকে নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ২৫১ হয় শেষদিকে ব্রেসওয়েলের খেলা ৪০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে। তার এই ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।