‘আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন কর্মী ও নেতা সৃষ্টির কারিগর’

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, আবদুল্লাহ আল নোমান কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ ছিলেন। দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপিকে সংগঠিত করতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। চট্টগ্রাম বিএনপি তাঁর হাতে গড়া সংগঠন এবং তিনি ছিলেন আমাদের সকলের নেতা। আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন কর্মী ও নেতাসৃষ্টির কারিগর।

শনিবার(৮ মার্চ) বিকাল ৪টায় নগরীর জিইসি কনভেশন সেন্টারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সদ্য প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার একথা বলেন। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন ক্ষণজন্মা রাজনীতিবিদ। তিনি আজন্ম মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ.এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন পোঁড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিনি শুধু চট্টগ্রামের নেতা নন। তিনি ছিলেন জাতীয় নেতা। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কে শক্তিশালী ও সংগঠিত করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। আবদুল্লাহ আল নোমান টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত জাতীয়বাদী শ্রমিকদলকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন।

বিশেষ বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়নের রূপকার। ’৯১ ও ২০০১ সালে সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রামে অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। চট্টগ্রামের সিংহভাগ মেগা প্রকল্প আবদুল্লাহ আল নোমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি সিটি কর্পোরেশন কে আমব্রেলা প্রজেক্টের মাধ্যমে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে মহানগরীর সড়কগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমানের সন্তান তরুণ রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ সাঈদ আল নোমান তূর্য্য বলেছেন, আমার বাবা ছিলেন একজন সৎ, পরিচ্ছন্ন ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদ। তিনি মনে করতেন ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং এই নীতিকে তিনি ব্যক্তি জীবনে ধারন করেছেন। তিনি বিএনপি এবং শ্রমিকদল কে সংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে গেছেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খাঁন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিছ মিয়া, বিএনপি নেতা জাহাংগীর আলম, একরামুল করিম, এম.এ. সবুর, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম রাসেল, কামরুল ইসলাম, শ্রমিকদল নেতা শ.ম. জামাল, মঞ্জুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মোতালেব চৌধুরী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, তাহের আহমদ, আবদুস শুক্কুর প্রমুখ।