রাউজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অবাধে চলছে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

শফিউল আলম, রাউজানঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে নদী খাল, ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন , সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ও খালের ভাঙ্গন বৃদ্বি পেয়ে ঘরবাড়ী, ফসলী জমি নদী ও খালে বিলিন হয়ে পড়ছে । বালু ভর্তি ড্রাম ট্রাক চলাচলের ফলে সড়কের ক্ষতি হয়ে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে ।

হালদা নদীর মোহনা ও কচুখাইন, মোকামী পাড়া র্সাকদা, সহ নদীর বিভিন্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করায় হালদা নদীর মা মাছ সহ জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বালু ভর্তি নৌযান, বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের আঘাতে ডলফিন ও মা মাছ মরছে অহরহ। মা মাছের প্রজন্ন ক্ষেত্র হালদা নদীর মা মাছ রক্ষায় বালু মহল ইজারা বন্দ্ব করে দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন । তারপর ও হালদা নদীর মোহনায় কালুর ঘাট অংশে প্রতিদিন বড় বড় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা । রাউজানের নোয়াপাড়া কচুখাইন, ছায়ারচর, মোকামী পাড়া,সার্কদা, মইশকরম, উরকিরচর. পশ্চিম আবুর খীল, নাপিতের ঘাট,মগদাই সুইস গেইট, আজিমের ঘাট, কাসেম নগর, কাগতিয়া, গোলজার পাড়া, পশ্চিম বিনাজুরী, দক্ষিন গহিরা, পশ্চিম গহিরা, বদুর ঘোনা, অংকুরী ঘোনা, কোতোয়ালী ঘোনা, কাজী পাড়া, ইন্দ্রিা ঘাট, পশ্চিম ফতেহ নগর, নদীম পুর এলাকায় হালদা নদী থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে ।

রাউজান উপজেলার দক্ষিন রাউজানের খেলার ঘাট, লাম্বুর হাট, পাচখাইন দরগাহ বাড়ী, উভলং, চৌধুরী হাট ঘাটকুল, কচুখাইন অংশে কর্ণফুলী নদী থেকে কোন ইজারা না নিয়ে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে বালু খোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা । রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্ছার ঘাট, উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, গনী পাড়া, চিকদাইর হক বাজার, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর, নতুন হাট, গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর এলাকায় সর্তা খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে । রাউজানের বৃকবানুপুর, বৃন্দ্বাবনপুর, জানিপাথর, পুর্ব ডাবুয়া, রামনাথ পাড়া, কেউকদাইর, চিকদাইর পাঠান পাড়া, সন্দ্বীপ পাড়া, রাউজান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়া, পশ্চিম সুলতানপুর এলাকায় ডাবুয়া খালের মধ্যে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করছে বালু। রাউজানের মেলুয়া, হিংগলা, কলমপতি, হিংগলা নতুন পাড়া, এলাকায় খাসখালী খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে ।

রাউজানের রাবার বাগান, ঢালার মুখ, পুর্ব রাউজান, কেউটিয়া, খলিলাবাদ এলাকায় রাউজান খাল থেকে উত্তোলন করছে বালু। রাউজানের পুর্ব রাউজান, রানী পাড়া শমশের নগর, কেউটিয়া, নাতোয়ান বাগিচা, এলাকায় পাহাড়ী এলাকা থেকে নেমে আসা মুখছড়ি, মঙ্গলছড়ি খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে। রাউজানের পুর্ব রাউজান রাবার বাগান, দেয়ারী পাড়া, শমমের নগর, কালকাতর পাড়া, শমশের পাড়া, কদলপুর এলাকায় ভোমর ঢালা খাল থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করছে বালু। রাউজানের কদলপুর শমশের পাড়া, সোমবা¦ইজ্যার হাট এর পুর্বে হরনাথ ছড়া খাল থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে। কদলপুর দক্ষিন শমশের পাড়া, ভট্টপাড়্া ঈশান ভট্টের হাটের পুর্ব পাশ ও কদলপুর এলাকায় ফটিকছড়ি ছড়া খাল থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে । রাউজানের মহামুনী এলাকায় ত্রিপুরা সুন্দরী ছড়া খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে প্রতিদিন । নদী খাল ছড়া থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন বিপুল পরিমান বালু উত্তোলন করে খাল, নদী, ছড়ার পাড়, সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখেন বালু। বালুর স্তুপ থেকে ট্রাক, জীপ, ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে চট্টগ্রাম নগরী সহ রাউজান হাটহাজারী, ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সরকারী বেসরকারী ভবনের নির্মান কাজ, সড়কের উন্নয়ন কাজে বিকত্রয় করছে বালু ।

বালু বিক্রয় করে বালু খোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিপুল পরিমান টাকা আয় করলে ও সরকার পায়না কোন রাজস্ব আয়। অবাধে নদী খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ও খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে মানুষের বসতবাড়ী, ফসলী জমি, সড়ক, নদী ও খালে বিলিন হয়ে পড়ছে । গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে কর্ণফুলী নদী, হালদা নদী, খাল থেকে বালু উত্তোলন করতো আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সিন্ডিকেটের সদস্যরা । গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নদীও খাল থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদালের নেতা কর্মীর পরিচয়ে বালু খোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা । এই বিষয়ে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অংছিং মারমা বলেন, নদী ও খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদেও বিরুদ্বে অভিযান চালিয়ে গত ৩ মার্চ হলদিয়া আমির হাটে বালু ভর্তি জীপ আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে । নদী ও খাল থেকে অবৈধবাবে বালু উত্তোলন বন্দ্বে অভিযান অব্যাহত থাকবে ।