শুক্রবার (২৮শে ফেব্রুয়ারি) বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর এর ৩য় প্রতিনিধি সম্মেলন এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর শাখা কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছে চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলষ্টেশনে। অরূপ মহাজনকে সভাপতি, মাহিদুল ইসলাম ইবাদ এবং ঈশা দে কে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি মহানগর কমিটি গঠিত হয়।
বিকেল ৩ টায় সারাবিশ্বে নিপীড়িত জাতি, জনগণের মুক্তির সংগ্রামের এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সংগীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নব-নির্বাচিত কমিটির সহ-সভাপতি ঈশা দে এর সঞ্চালনায় সম্মেলনের সূচনা বক্তব্য রাখেন সভাপতি অরূপ মহাজন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এর জাতীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এর জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি তিতাস চাকমা, বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন এর চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি রাকিব উদ্দিন।
সম্মেলনে বক্তারা দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ছাত্র সমাজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্র-সমাজের আকাঙ্ক্ষা সাম্রাজ্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ বিরোধী ও জনগণের প্রকৃত মুক্তি অর্জনের জন্য হলেও, শ্রমিক-কৃষক ও মেহনতী জনগণের সাথে একাত্ম না হওয়ায় ও সঠিক রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায়, তার লক্ষ্য অর্জনে সে ব্যর্থ হয়েছে। সংগঠনের দীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা কীভাবে এখনো পর্যন্ত শ্রমিক-কৃষক ও মেহনতী জনগণের নেতৃত্ব মেনে নিয়েই প্রকৃত মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মার্কসবাদ–লেনিনবাদ–মাওবাদ এর পতাকাতলে ছাত্র-বুদ্ধিজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করে সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ অভিমুখী নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার যে পুরনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার উপরে দাঁড়িয়ে নিজেদের বিপ্লবী সরকার, গণতান্ত্রিক সরকার নানান কিছু বলে বেড়াচ্ছেন, আবার উল্টোদিকে জনগণের ন্যায্য ক্ষোভ দমন করছেন, সে ব্যাপারটি উল্লেখ করে তাদের নব্য ফ্যাসিবাদী বলেন বক্তারা। আরও উল্লেখ করেন, এই সরকার জনগণের ন্যায্য মুক্তি ও দাবি দাওয়া কোনোদিনই আদায় হবেনা, মুক্তি অর্জিত হবে না। মার্কসবাদ–লেনিনবাদ–মাওবাদ এর আদর্শে সজ্জিত হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বেগবান করার আহ্বান জানান।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি অরূপ মহাজনের সমাপনী বক্তব্যের পর, সাংস্কৃতিক দলের সংগীত পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি সম্বলিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর, বিকেল ৫ টায় ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে ২ নং গেইট অভিমুখী একটি লাল পতাকা সজ্জিত মিছিল, যা পুনরায় ষোলশহর রেলস্টেশনে এসে শেষ হয়, তার মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।