ইউসুফ চৌধুরী ও চট্টগ্রামের উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক : সিটি মেয়র

মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে পরিপূরক। স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রামের বিস্তৃতি, উন্নয়নে, মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীর আন্দোলন ছিল স্মরণযোগ্য। হারিয়ে যাওয়া চট্টগ্রামের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারেও তাঁর ভুমিকা অগ্রগণ্য।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে শ্রদ্ধায় স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন। ২০২৫ সালে মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এ উপলক্ষে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি এ স্মরণসভার আয়োজন করে। কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম নূরুল হক হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন দৈনিক পূর্বকোণ এর চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক একুশে পদক বিজয়ী এম এ মালেক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক আলহাজ লায়ন রফিক আহমেদ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুর রহমান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান, ডাক্তার ইমরান বিন ইউনুস, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন, প্রফেসর ড. নূকম আকবর হোসেন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা। দৈনিক পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী। উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি বলেন, মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের বটবৃক্ষ। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি যেভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তা আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণার। দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, ইউসুফ চৌধুরী ছিলেন আপোসহীন ব্যক্তি। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভুমিকা ছিল অগ্রগণ্য। চট্টগ্রামের উন্নয়নে তাঁর অবদান মানুষ আজীবন মনে রাখবে। পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডাক্তার রমিজ উদ্দিন চৌধুরী। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিম, লায়লা ইব্রাহীম বানু, লায়ন মুহাম্মদ নুরুল আলম, যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ, এস এম সিরাজদৌল্লা, নোমান উল্লাহ বাহার, হাসান সিকদার, কাশেম শাহ, বাহার উদ্দিন জোবায়ের, এম এ সবুর প্রমুখ। স্মরণসভা উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।