দায়িত্ব ছাড়লেন জিয়াউর হক, সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সংগঠন

বাঁশখালী ছাত্র সংস্থা-১৯৮৬ সংগঠন থেকে পদত্যাগ করলেন স্থায়ী পরিষদের প্রধান। জিয়াউল হক (এম.এ, বি.এড)

মূলত ৪০তম কমিটির নির্বাচন জনিত অনিয়মের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। নিয়ম অনুযায়ী স্থায়ী পরিষদের প্রধানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি প্রেস রিলিজ হওয়ার নিয়ম রয়েছে, সেখানে সদ্য স্বঘোষিত প্রাক্তন সভাপতি তার স্বাক্ষর দিয়ে কমিটি ঘোষণা করলে ছাত্র সংস্থায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, কথিত আছে স্থায়ী পরিষদের প্রধানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি ইচ্ছে অনুযায়ী প্রচার করে তৌহিদুল ইসলাম দ্বিতীয় বার সভাপতি হন। যা ছাত্র সংস্থার নিয়ম বহির্ভূত, কোন সভাপতি ০১ বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই। সেই কাজটিও করেছে তৌহিদ। তৌহিদ তার পকেট কমিটির প্যানেলকে জাল ভোট অর্থাৎ ভোটার লিস্টের বাইরের লোক দিয়ে ভোট দেওয়ায় পরে ক্রস চেকিংয়ে সেটি চিহ্নিত হয় ০২জন ভোটার ভোটার লিস্টে নাম ছিল না। নির্বাচন স্থগিত করার পর উশৃংখল কিছু সদস্য বৈধতা পেতে চাপ প্রয়োগ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালায় ।

তাদের ০৫ জন কমিশনারের মধ্যে ০৩জন নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের কথা জানালেও নুর হোসেন, জাহেদ তালুকদার অবৈধ ভোটারের জাল ভোট পড়া ও সভাপতি নির্বাচনের যে সাংবিধানিক নিয়ম আছে সেসব তোয়াক্কা না করে সাফাই গাইতে থাকেন৷
এমতাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি হলে আরও ১০জনের অধিক প্রাক্তন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নতুন বিতর্কিত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এমন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অপারগতা দেখিয়ে জিয়াউল হক পদত্যাগ করেন। সংগঠনে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।