‘অসাধু ও ভেজাল খাদ্য বিক্রির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে’

আজকের শিশুরাই আগামির ভবীষ্যত তারাই আগামিতে দেশ ও জাতি পরিচালনার মূল দায়িত্বভার কাঁধে নিবে। সেকারণে শিশুদেরকে সুস্থ, কর্মক্ষম ও মেধাবী হিসাবে গড়ে তুলতে ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাবারের বিকল্প নেই। কারণ খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ ও বিষক্রিয়ার কারণে শিশুরা লেখাপড়া অমনোযোগী হয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে। যা মেধাবী জাতিগঠনের পক্ষে বড় অন্তরায়। খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ ও মানহীন খাবার বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীরা নানা উপটৌকন দিয়ে ও নানা কৌশলে দেশকে ভেজালের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেছেন। যার কারণে শুধু হোটেল, রোস্তারায় নয়, পথে ঘাটে সর্বত্র নানা ধরণের ক্যামিকেল মিশ্রিত খাবার বিক্রয়ের মহোৎসব চলছে। রাস্তায় প্রচন্ড ধুলাবালির মধ্যেও খাবার বিক্রি থেকে নাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফুসকা, মুড়ি, আচার বিক্রি, খবরের কাগজ দিয়ে খাবার বিক্রি, নালার পানি ও পুড়াতেল দিয়ে উৎপাদতি খাদ্য বিক্রি থেমে নেই। এসমস্ত অপরাধ দমনে ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্যের অভিযান চলমান থাকলেও অপতৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না। তাই এ মুহুর্তে প্রয়োজন জনগনের ব্যাপক জাগরন। অনিরাপদ ও ভেজাল খাদ্য বিপণনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

১২ নভেম্বর (বুধবার) নগরীর এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনাতনে “নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ক জনসচেতনতামুলক প্রচারণা কর্মসুচি”তে বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার ফারহানুল ইসলাম।

ক্যাব চট্টগ্রাম ক্যাব বিভাগীয় সংগঠক রাসেল উদ্দীনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, দৈনিক পূর্বদেশের বার্তা প্রধান আবু মোশারফ রাসেল, এশিয়ান আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ ওসমান সরোয়ার, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোঃ জানে আলম, আইএসডিই বাংলাদেশের মনিটরিং অফিসার সুপম বড়ুয়া, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের যুব গ্রুপের সদস্য আবরার করিম নেহাল, সালমান রশিদ অভি প্রমুখ।

প্রচারণা কর্মসুচিতে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত, অনিরাপদ খাবার বর্জন, হাত ধোয়া, প্লাসিক পণ্য বর্জন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে কোমলমতি শিশুদের করনীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়াও শিশু, তার পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্টান পর্যায়ে করনীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা আরও বলেন চট্টগ্রাম শহরের অনেক নামি দাবি খাবারের রেস্তোরা, মিস্টির দোকান, বেকারীসহ নানা প্রতিষ্ঠানে যখনই ভোক্তা বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করছে, তখনই নানা ধরণের ভয়ংকর তথ্য বের হয়ে আসছে। কিন্তু অভিযান শেষে আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। সেকারণে নিরাপদ খাদ্যের প্রচন্ড রকমের ঝুঁকিঁতে চট্টগ্রাম মহানগরী। যা স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের পথে বড় হুমকি বলে মতপ্রকাশ করে অসাধু ও ভেজাল খাদ্য বিক্রির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।