চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে চাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন শিবির নেতারা।
প্রস্তাবনায় বেশকিছু বিষয় যুক্ত করেছে ছাত্রশিবির। তাদের দাবি— গঠনতন্ত্রকে যুগোপযোগী করে তুলতে কিছু বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন করেছেন তারা।
লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ২ নম্বর ধারায় তিনটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করেছে ছাত্রশিবির। এর একটি হলো- ‘স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, চব্বিশের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক, ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ এবং লালন করা।’
এছাড়া ৬ নম্বর ধারায় ২১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদের প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা। আগে পুরনো গঠনতন্ত্রে নির্বাহী পরিষদ ১০ সদস্যের। পুরনো গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকা পদগুলো হলো—সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক।
নতুন প্রস্তাবিত পদগুলো হলো— দপ্তর, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, আবাসন ও পরিবহন, ক্যাফেটোরিয়া ও ক্যান্টিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ছাত্র অধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, নারী অধিকার, ধর্ম ও সম্প্রীতি বিষয়ক সম্পাদক এবং তিন নির্বাহী সদস্য।
এছাড়া সভাপতির একচ্ছত্র আধিপত্য হ্রাসকরণের প্রস্তাব করেছে তারা। পদাধিকারবলে এ পদটিতে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম নগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদসহ শাখা শিবিরের অন্যান্য নেতারা।