হাটহাজারীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, অভিযানে জরিমানা

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে একজনকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে দক্ষিণ পাহাড়তলীর নন্দীরহাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল এ অভিযানে অংশ নেয়।

ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ধরা হয় মো. নোমান সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি এক্সকেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে পাহাড় কাটছিলেন। নোমান নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা।

ইউএনও বলেন, ‘আটক ব্যক্তি দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত মামলা করবে।’

ইউএনও জানান, অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তি ছাড়াও পাহাড় কাটার পেছনে থাকা মূল হোতারা আগেই পালিয়ে যায়।

এর আগে চট্টগ্রামের একটি পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ পাহাড়তলীর মাহমুদাবাদ এলাকায় গত দুই মাস ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। আলী (র.) দরগাহর আশপাশে খননযন্ত্র দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা ও বিভিন্ন স্থানে ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই মাটি। এতে পাহাড়ের একটি বড় অংশ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন রাতভর ৮-১০টি ড্রাম ট্রাকে করে প্রতি ট্রাক মাটি ২৪০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। কবরস্থান, বাড়িঘর বা নির্মাণাধীন স্থানে এসব মাটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই সিন্ডিকেটে জড়িতদের তালিকায় রয়েছে এনাম সওদাগর, নেজাম উদ্দিন, শাহনেওয়াজ, ফোরকান, কাশেম সওদাগরসহ ১৪-১৫ জন। এ ছাড়া ‘মাটি মনসুর’ নামেও একজনের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে মাটি ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে।