ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা নানা স্লোগান দেন। একইসঙ্গে মাইকেও ছাত্রনেতারা বক্তব্য দেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নগরের উত্তর কাট্টলীর আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আকবর শাহ থানা এলাকা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এর আগে এক নারী শিক্ষককে কলেজে আসতে নিষেধ করা এবং কলেজ কমিটিতে বিএনপি নেতার চাচাকে ঢোকানোর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করে। এদিন সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আকবরশাহ থানা ঘেরাও করেন। এরপর ছাত্রদল ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীও থানার সামনে অবস্থান নেন।
দীর্ঘসময় মুখোমুখি অবস্থানে থাকার পর রাত ১২টার দিকে আকবর শাহ থানায় এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে পৌঁছে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া বিভিন্ন পক্ষ। নগর পুলিশ পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বৈঠকে সেনাবাহিনী, বিএনপি, ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন জানান, সম্প্রতি কলেজটির পরিচালনা কমিটি গঠন হয়। এর মধ্যে চারজনই বিএনপির। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে তাদের সংবর্ধনা দেয় ছাত্রদল। কলেজটিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ। সে কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ কারণে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে তারা (ছাত্রদল নেতাকর্মীরা)। খবর পেয়ে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে অভিযোগ দিতে থানায় গেলে সেখানে আমাদের একজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রদল ও বিএনপি।
আকবরশাহ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য মাইনুদ্দীন চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে শিক্ষার্থীরা বিরোধে জড়িয়েছেন। বিষয়টির মীমাংসাও হয়েছিল। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দেওয়া ছেলেরা যাওয়ার সময় ছাত্রদলের এক কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তারা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।