জেজু এয়ারের বিধ্বস্ত: ১৭৯জন নিহত বিমানে মিলেছে হাঁসের ডিএনএ, পাখির পালক

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ডিসেম্বরে বিধ্বস্ত জেজু এয়ারের বিমানের দুটি ইঞ্জিনেই হাঁসের খণ্ড-বিখণ্ড দেহ পাওয়া গেছে।

সোমবার ( ২৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।

তদন্তকারীরা বলছেন, তারা ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমানে পাখির ধাক্কার প্রমাণ পেয়েছেন, যাতে ১৭৯ জন নিহত হন।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত ছয় পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ জেটের উভয় ইঞ্জিনেই বৈকাল টিলসের ডিএনএ পাওয়া গেছে। এটি এক ধরনের পরিযায়ী হাঁস যা শীতকালে বিশাল ঝাঁকে দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়ে আসে।
‘দুই ইঞ্জিনেই পাখির রক্তের দাগ এবং পালক পাওয়া গেছে,’ জানানো হয় প্রতিবেদনে।

তবে, জেজু এয়ারের বিমানটি ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই কেন অবতরণ করেছিল এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারগুলো উড্ডয়নের শেষ চার মিনিটে কেন রেকর্ডিং বন্ধ করে দিয়েছিল সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি প্রাথমিক তদন্তে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ান এবং মার্কিন তদন্তকারীরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রানওয়ে ১-এর কাছে আসার সময় পাইলটরা একটি পাখির দলকে শনাক্ত করেন এবং একটি নিরাপত্তা ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেয়ার পর, সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটে সম্ভাব্য পাখির ধাক্কার বিরুদ্ধে পাইলটদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।’

এর মাত্র এক মিনিট পরে, ভয়েস এবং ডেটা রেকর্ডিং সিস্টেম উভয়ই কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
২৯ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরার সময় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এ সময় রানওয়ে দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে সামনে যাওয়ার সময় কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরণ ঘটে জেজু এয়ারের বিমানটিতে।

ওই দুর্ঘটনায় বিমানের ১৮১ আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হন। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা।