চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ ক্রীড়া উৎসব উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার জন্য মনের প্রশান্তি অপরিহার্য। শরীরচর্চা, খেলাধুলা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে, মনে আনে প্রশান্তি। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর শৃঙ্খলা, নৈতিকতাবোধ, শিষ্টাচার, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, একনিষ্ঠতা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি আরও বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের খেলোয়াডরা অবদান রাখছে; যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। উপাচার্য সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও শরীরচর্চা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। উপাচার্য প্রীতিলতা হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। পরে তিনি ১০০ মিটার স্প্রিন্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবি প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী। অনুষ্ঠানে চবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আনিসুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য জাতীয় পতাকা, বিশেষ অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা, প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট হল পতাকা ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন। মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন হলের কৃতী ক্রীড়াবিদ নুসরাত জাহান তৃনা ও মাই সিং। বিচারকদের পক্ষে প্রধান বিচারক চবি বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন ও ক্রীড়াবিদদের পক্ষে হলের কৃতী ক্রীড়াবিদ হাফসা আক্তার সাদিয়াকে উপাচার্য শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষক ও দলের টীম ম্যানেজার ফারহানা আজিজ এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় ক্রীড়াবিদদের মার্চপাস্ট। প্রতিযোগিতায় দলনেতার দায়িত্বপালন করেন সাদিয়া ফাতেমা মীম এবং হলের পতাকা বহন করেন হলের কৃতী ক্রীড়াবিদ ইলমা বেগম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চবি রেজিস্ট্রার দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন।