মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, প্রিয় চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে লন্ডনে আলোঝলমল সকালে এক ঐতিহাসিক মহাপুনর্মিলন ঘটল জিয়া পরিবারের। তাই দিনটি আজ অবিস্মরণীয়। দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হলো। এ সময় মা—ছেলে দুজনেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মাকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান । বুধবার (৮ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খালেদা জিয়াকে বরণ করতে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ফুল নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। মূলত উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এ সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়াকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। লন্ডনে পৌঁছানোর পর হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করার খবর পাওয়া গেছে।