চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী আলিফ হত্যা: ১০ আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট

চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১০ আসামিকে নিহতের ভাইয়ের করা মামলায় গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। আইনজীবীদের মারধর, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা করা হয়।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ১০ আসামি হলেন চন্দন দাস, রুমিত দাস, বিশাল দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, আমান দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস ও মনু দাস।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, গ্রেফতার দেখানো সবাই আলিফ হত্যা মামলার আসামি। গত ২৯ ডিসেম্বর হত্যা মামলাটি কোতোয়ালি থানায় রেকর্ড হয়। একইদিন আলিফের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেছিলেন। যেটিতে সবাইকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্মিলিত সনাতন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে তার অনুসারীরা। এসময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশপাশ এলাকায়। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।