হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও আট দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেষবারের মতো নিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নিবন্ধনের সময় গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়। তবে ওইদিন তৈরি হওয়া ভাউচারের বিপরীতে মঙ্গলবার ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া গেছে। তবে এরপরও হজের কোটার বড় একটি অংশ খালি ছিল।
হজযাত্রী নিবন্ধনের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় আগামী ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। এ সময়ের মধ্যে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে এবং একই সঙ্গে হজ প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার জন্য হজযাত্রীদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, বিশেষ বিবেচনায় হজ এজেন্সি এবং হজযাত্রীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বৃদ্ধি করা হলো। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থপনার স্বার্থে বর্ধিত সময়ের পর আর কোনো সময় বৃদ্ধির সুযোগ নেই বলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলো।
আগামী বছর হজে যেতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়। নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু নিবন্ধনের সাড়া না পাওয়ায় সময় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৫) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি এক লাখ ১৭ হাজার জন হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় হজ পোর্টালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলে ৭৪ হাজার ৪০৮ হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন, যা কোটার ৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ কোটার ৪২ শতাংশ এখনো খালি।