মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি): কাঁচামাল পারাপারের কার্গো ট্রলির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কাপ্তাই হ্রদে থাকা ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার বাঁশ নষ্ট হচ্ছে। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত কাঁচামাল পারাপারের কাজে কাপ্তাই কার্গো প্রণালীর এই কার্গো ট্রলি ব্যবহৃত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে কাপ্তাই হ্রদ পথে আসা বাঁশ, কাঠ, ফলমূল সহ সব ধরনের কাঁচামাল চট্টগ্রাম অভিমুখে নেওয়ার জন্য কর্ণফুলী নদীতে পারাপার করা হয় এই কার্গো ট্রলি দিয়ে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ট্রলি গুলোতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে মারাত্বক সমস্যায় পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সূত্র জানায়, ৩টি ট্রলি মেরামতের কাজ পায় মেসার্স এন্টারপ্রাইজ ও জেবি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। কাজ পাওয়ার দীর্ঘ প্রায় একবছর হলেও কাজ চলছে মন্তর গতিতে। প্রতিষ্ঠান দু’টির নামে নিম্নমানের কাজের অভিযোগও রয়েছে।
কাপ্তাই বাঁশ ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ, মো. ইদ্রিস, টিপু, আবদুর রাজ্জাক, বাদশা, ময়ূর, খুশি ও আব্দুর রশিদ রাশু জানায়, কার্গো ট্রলিতে যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে আমাদের ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার বাঁশ হ্রদে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারি রাজস্ব দেওয়ার পরও সঠিক সময়ে আমাদের বাঁশ পারাপার করতে পারছিনা। ৩টি কার্গো ট্রলি মেরামত করার জন্য ২টি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু সরকারের পট পরিবর্তনের পর ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের আর কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে কাঁচামাল পারাপার প্রণালীর কার্গো ট্রলি দিয়ে অনিয়মিত ভাবে কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাঁশ পারাপার করা হচ্ছে। তাও আবার রাতেদিনে একবেলা। ধীর গতিতে মাল পারাপার করার ফলে কোটি টাকার বাঁশ হ্রদে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত কার্গো ট্রলি মেরামত করে আমাদের সমস্যা দূর করা হোক। তা না হলে কোটি টাকা ক্ষতির মুখে আমাদের পথে বসতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন্টারপ্রাইজের সাইড ম্যানেজার আসাদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
কাঁচামাল পারাপার কার্গো প্রণালীর কার্গো ট্রলির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আদিল হোসেনকে মুঠোফোনে কার্গো সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের অনুমতি ব্যতীত আমি কিছু বলতে পারব না। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, কার্গো ট্রলি মেরামত করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো কোন বিল পায়নি। তাদের কাজে কিছু অনিয়ম রয়েছে। তিনি বলেন, একটি ট্রলি ভাল আছে। তা দিয়ে আপাতত কাজ চালানো যাবে।