টেকনাফের পোকা দমনে পাঁচ পরার্মর্শ

টেকনাফে ঘাসফড়িং সদৃশ্য পোকাগুলো পঙ্গপাল নয়, এটি এক প্রকার ঘাসফড়িং। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং টেকসইভাবে এই পোকা দমনের জন্য পাঁচ দফার ব্যবস্থাপনার কথা বলেছেন কৃষি বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের গবেষক দল।

রোববার (৩ মে) এক চিঠিতে পোকা দমনের এই ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়েছেন গবেষক দল। তারা জানান, ইতোমধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করা হয়েছে এবং আগামীতেও তা সম্ভব।

গবেষকদলের পঙ্গপাল সদৃশ্য পোকার আক্রমণ ঠেকাতে পাঁচ দফা সুপারিশগুলো হলো- ১. ফসল বা বাগান নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং পোকার আক্রমণ দেখা গেলে দমন ব্যবস্থাপনা নিতে হবে।

২.এই পোকা মাটিতে ডিম পাড়ে। ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ এবং জমি উত্তমরূপে চাষ করে নিতে হবে। এতে ডিমের গাদা ধ্বংস হবে।

৩.প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হাত দিয়ে নিম্ফো ও পূর্ণাঙ্গ পোকা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে।

৪. স্পিনোসেড গ্রুপের জৈব বালাইনাশক, যেমন- সাকসেস/ট্রেসার অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৫. আক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে রাসায়নিক কীটনাশক, যেমন- সাইপারমেথ্রিন ১০ইসি অথবা নাইট্রো ৫০৫ইসি (ক্লোরপাইরিফস+ সাইপারমেথ্রিন) অথবা ল্যাম্বডা-সাইহ্যালোথ্রিন ২.৫ইসি প্রয়োগ করে এ পোকা দমন করা যায়।

এই গবেষকদলে রয়েছেন খামারবাড়ির উপ-পরিচালক (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) মো. রেজাউল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নির্মল কুমার দত্ত, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নজমুল বারা এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. তাজমুল হক।

এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফে ঘাসফড়িং সদৃশ উড়ে আসা পোকা পঙ্গপাল কিনা, তা বিশ্লেষণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফে যান।

পরিদর্শন শেষে তারা জানান, ঘাসফড়িং সদৃশ পোকা পঙ্গপাল নয়। এটি এক প্রকার ঘাসফড়িং। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইতোমধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করা হয়েছে।