করোনা যুদ্ধে হতদরিদ্রদের ত্রান পৌঁছে দিয়ে তারা প্রশংসিত

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই
ফোরকান, মাসুদ,রাখাল , ইউসুফ এরা কেউ গ্রাম পুলিশ, কেউ দফাদার, আবার কেউ চৌকিদার। তাদের সাথে আরো অনেকেই আছে। যারা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে দেবার গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে কর্মরত এসব গ্রাম পুলিশ, দফাদার, এবং চৌকিদাররাও বিগত এক মাস ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সরকারের দেওয়া ত্রান হতদরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।যা সকল মহলের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
কথা হয় গ্রাম পুলিশ মাসুদের সাথে, তিনি বলেন, ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর বেবীর নির্দেশ মোতাবেক আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্যদের নিয়ে ঘরে ঘরে সরকারি ত্রান সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। একাজে তাদের ইউনিয়নের সকল গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার এবং দফাদাররাও এগিয়ে এসেছে। খুব আনন্দ নিয়েই এই কাজ করছেন বলে তারা জানান।কিন্তু দিনরাত ত্রান সহায়তা কাজ করে গেলেও আমাদের কথা পেপার,পত্রিকায় কেউ লেখে না।আমাদের কথা কেউ মনেও রাখবে না। তবে তারা বলেন, কেউ মনে রাখুক বা না রাখুক, এই সংকটকালীন মূহুর্তে আমরা হতদরিদ্রের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি এটা কম কিসের।
১ নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী জানান, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত কল্পে তার ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তিনি এবং তার পরিষদের ইউপি সদস্যরা বিগত এক মাস যাবত সরকারি ত্রান সহায়তা হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন। তাদের এই কাজে সার্বক্ষণিক সহায়তা প্রদান করছেন গ্রাম পুলিশ, দফাদার এবং চৌকিদাররা। তিনি তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
করোনা যুদ্ধে এই সব গ্রাম পুলিশ, দফাদার এবং চৌকিদাররাও সামিল হয়েছেন জনসেবায়। তাদের এই কার্যক্রম আমজনতার প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।