অলিম্পিকে যুক্ত হওয়ার গল্প ক্রিকেটারদের বললেন প্রধান উপদেষ্টা

প্যারিস অলিম্পিকের অন্যতম কুশিলব ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার দর্শনের ওপর ভিত্তি করেই আয়োজিত হয় এ আসর। গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে ডাক পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্যারিসেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

প্যারিস থেকে ৮ আগস্ট দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ইউনূস। তার সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আসা টাইগার ক্রিকেটাররা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠান।

এ সময় টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ছিলেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

অনুষ্ঠানেই প্যারিস অলিম্পিকে যুক্ত হওয়ার গল্প শোনান ইউনূস। খেলার শক্তিকে ব্যবহারে করেই ওই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।

ইউনূস বলেন, ‘এটার (খেলা) মধ্যে এত শক্তি আছে, এই শক্তিটা আমি ব্যবহার করতে জানতে চাই। খেলার ভিতরে যে শক্তি, এটা মানুষকে বুঝিয়ে ফেলো। সেই শক্তির কথা বারবার বলে আসছি বলেই এখন স্পোর্টস আমার কথা শোনার জন্য আগ্রহী। আস্তে আস্তে যেতে যেতে এখন অলিম্পিক পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। প্যারিসে যে অলিম্পিকটা হলো, সেটা ডিজাইন করা হয়েছিল আমার কথার ভিত্তিতে। স্পোর্টসের বাইরের মানুষ হয়েও আমি এখন একেবারে ভিতরে ঢুকে গেছি।’

ইউনূসের ‘তিন শূন্য মডেল’ এর ভিত্তিতে করা হয় প্যারিস অলিম্পিক আয়োজনের পরিকল্পনা। এটা অনুযায়ী অলিম্পিক ভিলেজ বানানো হয় অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চল সেন্ট ডেনিসে। পরিকল্পনায় রাখা হয় ‘শূন্য কার্বন নিঃসরণ’র বিষয়টি। পাশাপাশি আসর শেষে ভিলেজ যাতে স্থানীয়রা ব্যবহার করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়। এমন অবদানের জন্য প্যারিসে একটি রাস্তার নাম করা হয়েছে ইউনূসের নামানুসারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্যারিসে একটা রাস্তার নামই আমার নামে করা হলো। এই আইডিয়াটা দেয়ার কারণে। পুরো জাতিই এটাতে মজে গেছে।’

ইউনূসের মডেল অনুসরণ করেই ২০২৬ সালের শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজন করতে চায় মিলান। ইউনূস বলেন, ‘ওদের (প্যারিস) দেখে ইতালিয়ানরা ভাবছে তারাও করবে। মিলানে উইন্টার অলিম্পিক হবে, ২০২৬ সালে। সেখানে আবার তারা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। যে এটা আরও ভালো করে করতে হবে।’