খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেস-মেকার স্থাপন

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেস-মেকার বসানো হয়েছে। রোববার বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেস-মেকার বসানো হয় বলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেন্টও লাগানো ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে এখন মেডিকেলে বোর্ডের সিদ্ধান্তে ম্যাডামের হার্টে পেস-মেকার বসানো হয়েছে।

হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। ওই গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শনিবার ও রোববার কয়েকদফা বৈঠকে বসে পেস-মেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন। লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চ্যুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় যুক্ত হন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পর পর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।