চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। এদিন বেলা ১১:০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকলের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে চবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের রুটিন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান এবং সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) মোহাম্মদ হোসেন।

মাননীয় উপাচার্যের রুটিন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনার কিছুদিনের মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান উপজেলা ‘মুজিবনগর’) গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো। সে বিশাল আমবাগান এলাকা পরে ‘মুজিবনগর’ নাম নিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষিত হয়েছিল। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়।” মাননীয় উপাচার্যের রুটিন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) আরও বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে এই যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায় ও জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ^ মানচিত্রে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীণতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।” তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মাট বাংলাদেশ’ বির্নিমাণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান।