‘বিজেপি ১৫০ আসনও পেরোবে না’, ভবিষ্যদ্বাণী রাহুল গান্ধীর

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশীয় রাজনীতির পারদ ক্রমেই চড়ছে। চলছে একে অপরকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পালা। এবার ইন্ডিয়া ব্লকের অন্যতম অংশীদার তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নিলেন। মোদির সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারকে ‘স্ক্রিপ্টেড এবং ফ্লপ শো’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী এএনআইকে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এটি স্ক্রিপ্টেড ছিল এবং একটি ফ্লপ শো ছিল। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সেখানে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নির্বাচনী বন্ড নাকি স্বচ্ছতার জন্য আনা হয়েছিল! তাই যদি হবে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ কেন করল? কে টাকা দিল, কত টাকা দিল, কবে টাকা দিল, এই তথ্যগুলো কেন লুকানো হল? এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজির পরিকল্পনা। ভারতের সমস্ত ব্যবসায়ীরা এটি বোঝেন এবং জানেন এবং প্রধানমন্ত্রী যতই ব্যাখ্যা দিতে চান না কেন তাতে কোনও পার্থক্য হবে না। কারণ গোটা দেশ জানে যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন।

একইসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন যে আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপি ১৫০ আসনও পেরোতে পারবে না। রাহুল বলেন, “আমি আসনের ভবিষ্যদ্বাণী করি না। ১৫-২০ দিন আগে আমি ভাবছিলাম বিজেপি প্রায় ১৮০ টি আসন জিতবে কিন্তু এখন আমি মনে করি তারা ১৫০টি আসন পাবে। আমরা প্রতিটি রাজ্য থেকে রিপোর্ট পাচ্ছি যে আমাদের দল উন্নতি করছে । আমাদের খুব শক্তিশালী দল রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে জোট এবং আমরা খুব ভালো পারফর্ম করব। ‘

রাহুল গান্ধী, যিনি কেরালার ওয়েনাড় আসন থেকে লড়ছেন তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে ‘এই নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন হবে ‘। রাহুলের মতে ‘আরএসএস এবং বিজেপি সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে এবং অন্যদিকে, ইন্ডিয়া ব্লক এবং কংগ্রেস পার্টি সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে ২-৩টি বড় ইস্যু আছে। বেকারত্ব সবচেয়ে বড় এবং মুদ্রাস্ফীতি দ্বিতীয় বৃহত্তম কিন্তু বিজেপি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি কেউই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন না। ‘

উত্তরপ্রদেশে জোটবদ্ধ হয়ে লোকসভা ভোটে লড়ছে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। কংগ্রেস ১৭ টি আসনে লড়ছে যখন এসপি এবং তার সহযোগীরা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর প্রদেশের অবশিষ্ট ৬৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ।

সূত্র : ইকোনমিক টাইমস