ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন আলোচনা ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

শওকত হোসেন করিম, ফটিকছড়ি :
আসন্ন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর ব্যাপক আলোচনা চলছে উপজেলা জুড়ে। এরা হলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন মুহুরী, সাবেক ছাত্রনেতা ও তরুণ রাজনীতিক বখতিয়ার সাইদ ইরান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি হেলাল উদ্দিন নুরী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার ঘোষণায় তফসিল ঘোষণার পর হতে জমে উঠেছে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন।
বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে ও জনসমর্থন আদায় করতে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
আবার অনেক প্রার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে উঠান বৈঠক করছেন এবং ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নানা সমীকরণে ঘুরপাক খাচ্ছে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও চায়ের স্টলে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আসন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে চলছে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক।
ঈদ শুভেচ্ছা ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা ফটিকছড়ি।
এলাকার সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহলের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সৎ, নিষ্ঠাবান ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে তারা বিজয়ী করতে চান।
আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন মুহুরী ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে আওয়ামীলীগের মূল রাজনীতির সাথে সক্রিয় সম্পর্ক বজায় রেখে দলের সাংগঠনিক গতিশীলতায় অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বৃহৎ ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ফটিকছড়ির আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সুসংগঠিত করতে তাঁর নিরলস সাংগঠনিক প্রচেষ্টা ইতিবাচক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর অবস্থানকে শক্তিশালী এবং দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করার পেছনে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। ফলশ্রুতিতে মূল ধারার রাজনীতিতে তাঁর ভালো অবস্থান ও সমর্থন বেশ। গতবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করলেও বিজয় তাঁর ভাগ্যের সহায় হয়নি। কিন্তু তিনি এবারের নির্বাচনে শক্তিশালী প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে পুরোদমে কাজ করছেন।স্থানীয় আওয়ামিলীগের ব্যাপক সমর্থনের ফলে তাঁর নির্বাচনী মাঠ সহজ হবে এমন ধারণা করা যায়। তিনি শতভাগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছে তাঁর প্রচারণা, উঠান বৈঠক সহ নানা কার্যক্রম।
অপরদিকে, পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির আইডল হিসেবে যিনি প্রশংসনীয় খ্যাতি অর্জন করেছেন বখতিয়ার সাইদ ইরান। তিনি এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকার চেয়ে পরিচ্ছন্নতা বেশ এগিয়ে। ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর অবদান যে কেউ অকপটে স্বীকার করতে বাধ্য। তাঁর প্রার্থীতার বিষয়েও চলছে গুঞ্জন। তাঁর প্রচারণা প্রচারণাও ভালোভাবে চোখে পড়ছে। ছাত্র নেতাদের ব্যাপক সমর্থন তাঁর পক্ষে রয়েছে। ফলে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাঁর ভাগ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। তাছাড়া দলীয় প্রতীক না থাকার ফলে রাজনীতি ও রাজনীতির বাইরে তাঁর প্রার্থীতার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে। তাঁর প্রার্থীতা ঘিরে অন্যান্য প্রার্থীদের নির্বাচনী কৌশল পরিলক্ষিত হবে।
এদিকে, শুনা যাচ্ছে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে কাজ করছেন শিল্পপতি হেলাল উদ্দিন নুরী। তিনি একজন সামাজিক ব্যক্তিত্ববান মানুষ। ফটিকছড়ি সামাজিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডে তাঁর উপস্থিতি বেশ লক্ষ যায়। ফটিকছড়ির ভৌগোলিক রাজনৈতিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রার্থীতা নিশ্চিত হতে পারে এবং নির্বাচনের মাঠে শক্তভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না।