সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হবে এআই আইনের খসড়া: আইনমন্ত্রী

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এআই যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আইনের মধ্যে ফ্লেক্সিবিলিটি থাকতে হবে, হয়তো রেগুলেটরি হয়তো কঠিন হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন-২০২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। সম্ভব হলে আরও আগে করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আইন, ২০২৪-এর খসড়া নিয়ে অংশীজন সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যখনই নতুন কিছু উদ্ভাবন হয়, সেটার সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আইনেরও প্রয়োজন হয়। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আমাদের আইন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’

অংশীজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যাপ্তি অনেক ব্যাপক। আজ আপনাদের মত নিলাম। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত আউটলাইন তৈরি করা। চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুতের আগে আবারও আপনাদের সঙ্গে বসব। এআই পলিসি এবং এআই আইনের সমন্বয়ের দিকে খেয়াল রাখা হবে। কারণ, পলিসির বাইরে আইন করে লাভ হবে না।’

তবে এইআই নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চাই। আমি মনে করি, আমরা যেহেতু এটি তৈরি করেছি, সেহেতু এর পরিচালনা কর কঠিন কিছু হবে না।’

স্মার্ট জেনারেশন তৈরির জন্য এ আইন গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে চায় এবং সেখানে স্মার্ট প্রজন্ম থাকবে। আমরা যখনই কোনো আইন প্রণয়ন করি না কেন, প্রধানমন্ত্রীর একটি কর্মপদ্ধতি আছে যে অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নেয়া। তাদের মতামত নিয়ে আইনটা করার চেষ্টা করা হয়। আমরা আইনের নাম প্রস্তাব এবং কাঠামো তৈরি করেছি।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।