বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় নাশতার প্রমাণ পায়নি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় নাশতার প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি। তবে, দুই কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
যার একটি হলো চুরির উদ্দেশ্যে রেললাইনের বিয়ারিং প্লেট খুলে নেওয়া, অন্যটি রেলসেতুর ত্রুটি।

গেল ১৭ মার্চ দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরোও একটি কমিটি গঠন করা হয়। এখনো দুটি কমিটির কোনোটিই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

তদন্ত কমিটির প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কার্যক্রমের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। দুটি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধান কারণ হচ্ছে, রেললাইন থেকে বিয়ারিং প্লেট খুলে ফেলা। আর নাশকতার উদ্দেশ্যে বিয়ারিং প্লেটগুলো খুলে ফেলা হয়েছে বলে মনে হয়নি। চুরির উদ্দেশ্যে কয়েকজন কিশোর তিনটি বিয়ারিং প্লেট খুলে নিয়েছে। অন্য কারণটি হচ্ছে রেলসেতুর স্লিপারের অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব কিংবা সংস্কার না করার কারণে এগুলো নষ্ট হয়েছে। ওই রেলসেতু ট্রেনের বগিগুলোর ভার (লোড) নিতে পারেনি। ফলে লাইনচ্যুত হয়েছে।

১৭ মার্চ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।

কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরদিন রেলওয়ের এক প্রকৌশলী লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ মার্চ চার কিশোরকে হেফাজতে নেয় লাকসাম পুলিশ। পরে তাদের গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। তবে প্রাথমিকভাবে নাশকতার কিছু পাওয়া যায়নি।