আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

সন্দ্বীপে আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরণ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা,কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুল কাদের মিয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক দরিদ্র ও অসহায় পরিবারে ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলিগের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের মিয়া দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ ধরে বিভিন্ন মানবিক কাজ আসছে।

২৮ মার্চ সকালে সন্দ্বীপ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডস্থ নিজ বাসভবন আলহাজ্ব আমেনা মুস্তাফিজ কুঠিরে এই সামগ্রী বিতরনের আনুষ্ঠানিক শুভ সুচনা ঘটে।উক্ত ইফতার ও সেহরী সামগ্রী বিতরনের পুর্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা,দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।মিলাদ ও দোয়া পড়ান আব্দুল কাদের মিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত ইবনে মাসুদ (রা) মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জনাব নুরুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাউরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: জামাল উদ্দিন।সভা সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ জামসেদুর রহমান।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য মোঃ জিয়াউল হক চৌধুরী,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আলম কোম্পানি, ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম সওদাগর সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি বৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মিয়া রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কমিটিতে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় ভাবে বিভিন্ন কমিটির বড় বড় পদে আসীন রয়েছেন।তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে মানবতার কল্যাণে বিগত ২০ বছর ধরে সন্দ্বীপে যেভাবে মানবিক কাজে অকাতরে বিলিয়ে যাচ্ছেন তাতে দরিদ্র জনসাধারনের ব্যাপক উপকার হচ্ছে।অন্য নেতা কর্মীরা শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।তাই এই দানবীর লোকটির জন্য মহান স্রষ্টার দরবারে প্রতিনিয়ত দোয়া করে আসছেন মানুষ।

ইফতার সামগ্রী নিতে আসা দরিদ্র,হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন জানান আবদুল কাদের মিয়া সন্দ্বীপের আনাচে কানাছে বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান সহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নীরবে দান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও অনেক অসুস্থ,অসহায় দরিদ্র পরিবারের জন্য প্রতিমাসে টাকা পাঠান। চিকিৎসা সেবা, কন্যাদায়গ্রস্থ মেয়ের পিতাকে সহযোগিতা সহ প্রায় শতাধীক পরিবারের প্রতিনিয়ত ভরণপোষন এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন।