৫ বারের সাবেক এমএলএর মৃত্যু, উত্তর প্রদেশে ১৪৪ ধারা

গ্যাংস্টার কাম রাজনীতিক মুখতার আনসারির মৃত্যুতে উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অনলাইন এনডিটিভি লিখেছে, তিনি হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, ২০০৫ সাল থেকে জেলে থাকা আনসারিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এ জন্য রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর অধীনে বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বান্ডা, মাউ, গাজিপুর এবং বারানসি জেলায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

বৃহস্পতিবার রাতে বান্ডা জেলা কারাগারে তিনি অচেতন হয়ে পড়ার পর বান্ডা হাসপাতালে নেয়া হয়। এর কয়েক ঘন্টা পর রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল বলছে, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

কিন্তু আনসারির ছেলে ও ভাইয়ের অভিযোগ, জেলখানায় তার ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। তার ছেলে উমর আনসারি মিডিয়াকে বলেছেন, দু’দিন আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তার পেট ফুলে গেছে। তাহলে কিভাবে তিনি হার্টঅ্যাটাক করেন? ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তার পেট ফুলে গেছে। তার অবস্থা ছিল গুরুতর। তাকে আইসিইউতে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু ১২-১৪ ঘন্টা পর তাকে জেলে পাঠানো হয়।
আজ শুক্রবার আনসারির পোস্টমর্টেম করার কথা ৫ জন চিকিৎসকের একটি প্যানেলের। মুখতার আনসারি মারা গেছেন বান্ডা হাসপাতলে। এর বাইরে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আনসারির বাড়ি মাউ জেলায়। পার্শ্ববর্তী গাজিপুর এবং বারানসি জেলায় তার শক্তিশালী প্রভাব ছিল। তিনি বহুজন সমাজ পার্টির টিকেটে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাবেক এই এমএলএর বাড়ির বাইরে জমায়েত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। উত্তর প্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। পুলিশকে সহায়তার জন্য ডাকা হয়েছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। বান্ডা, মাউ, গাজিপুর এবং বারানসিতে এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফের বিভিন্ন ইউনিট। উত্তর প্রদেশ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সেলকে রাখা হয়েছে উচ্চ সতর্ক অবস্থায়। দাঙ্গা সৃষ্টির মতো কোনো বেআইনি উপাদান যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তারা তা দেখবেন।

উল্লেখ্য, মাউ সদর আসন থেকে ৫ বারের সাবেক এমএলএ মুখতার আনসারি। তার বিরুদ্ধে ৬০টি ফৌজদারি মামলা মুলতবি অবস্থায় আছে। বিভিন্ন আদালতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাকে আটটি মামলায় জেল দেয়া হয়েছে। তিনি বন্দি ছিলেন বান্ডা জেলে।