জাকাত সংগ্রহ ও বণ্টনে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হলে এক দশকেই দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার উদ্যোগে ‘দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের ভূমিকা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা আজ ২৭ মার্চ বুধবার হাটহাজারী সদরস্থ একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়। উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আব্দুর রহিম মুনিরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী। মুখ্য আলোচক ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে ত্বরিকত আল্লামা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সচিব মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জাবের। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামের অর্থনৈতিক বিধানই হচ্ছে জাকাত। জাকাত ফরজ ইবাদত। যা গরিব হকদার খুঁজে খুঁজে ধনীদের অবশ্যই আদায় করতে হবে। জাকাত না দিলে নামাজ কবুল হবে না। জাকাত সংগ্রহ ও বণ্টনে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হলে দেশ ও সমাজ থেকে এক দশকেই দারিদ্র্য নির্মূল সম্ভব। বক্তারা বলেন, দেশে যে সব ধনী আছে তারা হিসেব করে জাকাত দিলে বছরে অন্তত পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা জাকাত খাত থেকে উঠে আসবে। এই বিপুল টাকা দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যয় করা হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাকাত মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা করে বিত্তবানদের থেকে আবশ্যিকভাবে জাকাত সংগ্রহ করে তা পরিকল্পিতভাবে বণ্টন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচক ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী, মুহাম্মদ হারুন সওদাগর, এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা ইকবাল হোসাইন আলকাদেরী, অধ্যাপক সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন, মুহাম্মদ কামাল পাশা চৌধুরী, এডভোকেট মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মুজিব উদ্দিন, কাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আবু সাঈদ, মাওলানা মুহাম্মদ করিম উদ্দিন নূরী, মুহাম্মদ সেকান্দর মিয়া, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহ্জালাল, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, আজিম উদ্দিন আহমেদ জনি, মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান, কে এম আজাদ রানা, মাওলানা মুহাম্মদ ছগির উদ্দিন, মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল রোমান, মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন রুবেল, মুহাম্মদ রবিউল হোসাইন সুমন, মুহাম্মদ সাহেদুল আলম, মুহাম্মদ মোশারফ হোসাইন, মহিন উদ্দিন, ফারুক হোসাইন, মুহাম্মদ রাইহান, এনামুল হক মুন্না, মুহাম্মদ রাসেল,কাজী কায়েস, মুহাম্মদ সোলাইমান, ইরফান উদ্দিন, নুর উদ্দিন, নুরুল আজীম,জয়নাল আবেদীন, জমির উদ্দিন,কুতুব উদ্দিন জিসার, পারভেজ মোশারফ, হিরাম উদ্দিন আনিসুল মোস্তাফা, মুহাম্মদ সাইফুল,মুহাম্মদ কাইয়ুম, মোহাম্মদ মোস্তাফা, মুহাম্মদ নজরুল প্রমুখ। পরে মিলাদ কিয়াম শেষে দেশ ও জাতির শান্তি কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।