বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের অনুমতি চেয়েছিল ইইউ

সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশি পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি টহল জাহাজ চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা অ্যাকশনে যাওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু নাবিক, ক্রু এবং অন্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকারের তরফে অ্যাকশনের অনুমতি দেয়া হয়নি। এমনটাই জানিয়েছে সেগুনবাগিচা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম গতকাল বলেন, গভীর সমুদ্রের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ রাখতে আশপাশের অনেক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের টহল জাহাজ কাজ করে। বিশেষ করে জলদস্যুতা প্রতিরোধে নিয়মিত সার্ভিলেন্স থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে হুতিদের প্রতি এটেনশন দিতে কিছু জাহাজ ব্যস্ত থাকার গ্যাপে সুযোগ নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারা কয়েক মাস আগে অন্য দেশের একটি জাহাজকে জিম্মি করে বড় জাহাজ ধরার অপেক্ষায় গভীর সমুদ্রে ওঁত পেতে ছিল। প্রায় ১৩শ’ নটিক্যাল মাইল ভেতরে গিয়ে তারা আক্রমণটি করেছে।

বাংলাদেশের জাহাজ সঠিক পথেই ছিল দাবি করে জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকতা বলেন, তবে সেখানেও কিছু প্রশ্ন আছে। একটি নোটিশ ছিল ওই পথে জাহাজ চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের।

বৃটেনের তরফে সেটা জারি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই ডেঞ্জার জোনের একশত নটিক্যাল মাইল দূর দিয়ে যাচ্ছিল। আরেকটু ভেতর দিয়ে অর্থাৎ আড়াই থেকে ৩শ’ নটিক্যাল মাইল ভেতর দিয়ে গেলে হয়তো বিপদ এড়ানো যেতো। মেরিটাইম সচিব বলেন, ঘটনার পরপরই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান পুরো এলাকা সার্চ করেছে এবং তারা আমাদের জাহাজটি যে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে সেই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেখানে কাছাকাছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ ছিল। সেটি তাৎক্ষণিক দস্যুদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমাদের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের লোকজনের প্রাণরক্ষায় আমরা সে পথে যাইনি। এখন নেগোশিয়েশন চলছে কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক, ক্রুদের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়। উল্লেখ্য, সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর মতে, জাহাজটিতে থাকা নাবিকরা সবাই নিরাপদে আছেন। সোমালিয়ার জলসীমায় এখনো তাদের অবস্থান।