২ ম্যাচ নিষিদ্ধ রোনালদো, হয়েছে জরিমানাও

লিওনেল মেসির নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেজাজ হারিয়ে করেন অশালীন অঙ্গভঙ্গি। সৌদি প্রো লীগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসির নামে স্লোগান শুনে এখন পর্যন্ত তিনবার ‘গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি’ করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। সবশেষ প্রো লীগের ম্যাচে আল শাবাব এফসির বিপক্ষেও একই আচরণ দেখান সিআরসেভেন। এতে ক্রিস্টিয়ানোকে নিষিদ্ধ করেছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন। দেয়া হয়েছে অর্থদণ্ডও।

গত রোববার আল শাবাবের বিপক্ষে বিতর্কিত আচরণটি প্রদর্শন করেন রোনালদো। রিয়াদ ডার্বিতে আল শাবাব দর্শকদের ‘মেসি মেসি’ স্লোগানের জবাবে গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে অশ্লীলতা দেখান সিআরসেভেন। সৌদি অ্যারাবিয়ান গণমাধ্যমগুলোর খবর, নিজের আচরণের জন্য দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে জরিমানার পরিমাণ জানা যায়নি। আগামীকাল প্রো লীগের ম্যাচে আল হাজমের বিপক্ষে খেলবে আল নাসর।

এরপর ৪ঠা মার্চ আল এইনের বিপক্ষে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলবে আল নাসর। নিষেধাজ্ঞার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দুটি খেলতে পারবেন না পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।
২০২৩ সালের এপ্রিলের ঘটনা। প্রো লীগের ম্যাচে আল হিলাল এফসির মুখোমুখি হয় আল নাসর এফসি। সেই ম্যাচে মেসির নামে স্লোগান শুনে প্রথমবারের মতো রাইভালদের উদ্দেশ্যে গোপানাঙ্গে হাত দিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন রোনালদো। যদিও সেই ঘটনাকে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিল আল নাসর। ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘কুঁচকির চোটের কারণে এমন করেছিলেন রোনালদো। এটা নিশ্চিত তথ্য। দর্শকরা যা ইচ্ছা ভাবতে পারে।’ এরপর চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে রিয়াদ সিজন কাপে আল হিলালের বিপক্ষেই মেসির নামে স্লোগান শোনেন রোনালদো। মাঠে ক্ষিপ্ত ক্রিস্টিয়ানো অশালীন অঙ্গভঙ্গি না করলেও ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে দেখান বিশ্রি আচরণ। টানেলের প্রবেশ পথে রোনালদোর উদ্দেশ্যে কেউ একজন আল হিলালের স্কার্ফ (ক্লাব পতাকা) ছুঁড়ে মারে। তা কুঁড়িয়ে নিজের শর্টসের ভেতরে ঢুকিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন রোনালদো। এরপর গ্যালারিতে সেই স্কার্ফ ছুঁড়ে মারেন।

নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত হওয়ার আগেই সৌদি প্রো লীগের শৃঙ্খলা কমিটির সাবেক প্রধান আয়মান আল রিফাই জানান, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির জন্য শাস্তি প্রাপ্য ক্রিস্টিয়ানোর। এক বা দুই ম্যাচের জন্য হতে পারেন নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে দেয়া হতে পারে অর্থদণ্ড।

সৌদি অ্যারাবিয়ান জার্নালিস্ট ওয়ালিদ আল ফারাজ বলেছিলেন, ‘শৃঙ্খলা কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। কী হয়, তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করব। সবকিছুরই একটা সীমা আছে। আপনি যতই বিখ্যাত হোন, তাতে কিছু আসে যায় না। (শাস্তির ব্যাপারে) বড় লীগগুলো কঠোরই হয়।’