শওকত হোসেন করিম, ফটিকছড়ি : নাজিরহাট- -কাজিরহাট সড়কের পাশেই যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এই ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাজিরহাট পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডে এলকার (মন্দাকিনী খালের উত্তর পাশে ) নাজিরহাট -কাজিরহাট সড়কের ঘেঁষে ময়লার স্তুপ। আর এর থেকে বের হচ্ছে দূষিত ধোঁয়া। দুর্গন্ধ আবর্জনা পুরো এলাকা ভাড়ি হয়ে উঠেছে।
নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটি ফটিকছড়ি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন ও শত-শত মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও নাজিরহাট কলেজ, উচ্চবিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কের পাশে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থেকে আসা দুর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর ধরে নাজিরহাট পৌরসভার সকল ময়লা-আর্বজনাগুলো প্রতিনিয়ত সড়কের পাশে এনে ফেলছেন। ময়লার স্তুপে ধরে দেওয়া হয় আগুন। এই আগুনের দূষিত ধোঁয়া বাতাসের সাথে মিশে আশেপাশে অবস্থিত স্কুল কলেজসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই দূষণের স্বীকার থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।
খবর জানা গেছে, এসব বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পরিবেশ বান্ধব কোনো প্রদ্ধতিও গ্রহণ করছেনা নাজিরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। যে কারণে দূষণের স্বীকার হচ্ছে এলাকার বাসিন্দা সহ চলাচলকারীরা।
নাজিরহাট কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ সাব্বির জানায়, কলেজের উদ্দেশ্যে এ সড়ক প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয় আমার। নাজিরহাট – কাজিরহাট সড়কের মন্দাকিনী খালের উত্তর পাশে আসলে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা নাক চেপে ধরে আসা-যাওয়া করতে হয়। দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। ওই ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখে পুরো শরীর ভাড়ি হয়ে যায়। অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন- এ ময়লা থেকে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে। এ থেকে শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এ ময়লা গুলো গর্ত করে ফুড়ে পেলা উচিৎ।
নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র লায়ন জাহেদ চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকে ওই ১১বছর ধরনে স্থানে ময়লা- আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ময়লা -আবর্জনা ফেলার জায়গার জন্য সরকারি কোন বরাদ্দ নেই। আমরা অন্য একটা ফান্ড থেকে ময়লা ফেলার জন্য জায়গা নিতে চেষ্টা করছি।
