সাদা সোনা খ্যাত মুলার বাম্পার ফলনে কৃষকের হাঁসি

শওকত হোসেন করিম, ফটিকছড়ি: চলিত শীতকালীন সবজি সবুজ চাদরে ঢেকে গেছে পুরো এলাকা। যেখানে চোখ যায় সেখানে সবজি আর সবজি । শীত মৌসুমে সবজি বিপ্লব হয়েছে এখানে।
মন মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যাবে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাসির মোহাম্মদ ঘাট এলাকার হালদা নদীর চরে। এ নদীর দুই কুল জুড়ে শীতকালীন সবজির চাষাবাদ হয়েছে প্রচুর । তার মধ্যে অন্যতম জাপানি সাদা মুলা। এক একটি মুলার ওজন ১০ থেকে ১২ কিলো। সাদা এই জাপানি মুলা দামে সস্তা আর স্বাদ প্রচুর থাকায় বাজারে কদর রয়েছে। মুলা আগাম চাষে হালদার চরের কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। ৩-৪বার মুলা চাষ করছেন। লাভ পচ্ছেন ৩গুণ। তাই এই মুলা এখন কৃষকের নিকট সাদা সোনায় পরিণত হয়েছে।
কৃষক মোঃ সোহেল বলেন, আমি এ বছর ৩ কানি জমিতে জাপানি মুলার চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। আল্লাহর রহমতে এখন বিক্রি করব প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। মুলা গাছের বিচি রোপন থেকে শুরু করে বিক্রি উপযোগী করা পর্যন্ত সময় লাগে মাত্র ৩ মাস। গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে হালকা বৃষ্টির কারণে মুলার গায়ে ক্ষত সৃষ্টিকারী পোকার আক্রমণ হয়। লেদা পোকা ও বিচ্ছুর কারণে মুলার ব্যাপক ক্ষতি হয়। ওই বিষয়ে মাঝে মাঝেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা বাংলা টিএসপি সার প্রতি কিলো ৫০ টাকা ও মরক্কো সার প্রতি কিলো ৩৫ টাকায় জমিতে দিয়ে থাকি। মুলা চাষিরা পোকার উপদ্রব থেকে স্বস্তি চান। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় অন্য বছরের তুলনায় এবছর মুলার ফলন ভালো হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোন সহযোগিতা ও পরামর্শ পাওয়া যায় না বলে অনেক কৃষক অভিযোগ করেছেন।
বেশ কয়েকজন কৃষক ও মুলা ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ওরশ উপলক্ষে জাপানি মুলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ওরশে প্রতি পিছ মুলা বাজার মূল্য হতে বেড়ে যায় ১ শত টকা হতে ২ শত ৫০ টাকা পর্যন্ত । বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা থেকে আগত হাজার হাজার শরীফের বক্ত- আশেকান বাবার দেশের মুলা প্রসিদ্ধ জাপানি মুলা চাহিদা প্রচুর ও জনপ্রিয় সবজি ।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, এ বছর ফটিকছড়ি উপজেলায় ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ করা হয়েছে। তিনি কৃষকের অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন কৃষকদের জন্য মাঠে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন। তারা যে কোন সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।