রাঙামাটি আসনে দীপংকর শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই

রাঙামাটি প্রতিনিধি::২৯৯ নম্বর রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের শক্তিশালী কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যে দুজন প্রার্থী রয়েছেন তাদেরও নির্বাচনি প্রচার তেমন সাড়া জাগানো নয়।

পার্বত্য রাঙামাটি আসনে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত ছড়ি (লাঠি) প্রতীকের প্রার্থী অমর কুমার দে এবং তৃণমূল বিএনপির মনোনীত সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান।

গত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। ভোটের লড়াইয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদারকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। তবে একাদশের নির্বাচনে ঊষাতন তালুকদারকে হারিয়ে আসনটি ছিনিয়ে আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছিলেন ঊষাতন তালুকদার। শেষাবধি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এই হেভিওয়েট প্রার্থী। ঊষাতনের মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারে রাঙামাটি আসনে ভোট নিরুত্তাপ হয়ে পড়ে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হারুনুর রশিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

ঊষাতন তালুকদারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ‘ফল’ হিসেবে অনেকটা ভারমুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। তবে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী সরে দাঁড়ানোয় ‘জয় নিশ্চিত’ এমন ফুরফুরে মেজাজে থেকেও ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। গ্রামে গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু থেকে সরকারি উপকারভোগী, দলীয় নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছেন। তবে নৌকার প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে এমনটাই নয়; ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোই তাদের মূললক্ষ্য।