রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক আহত ৭

শফিউল আলম, সংবাদদাতা রাউজান ঃ
কার্টুন ভর্তি মিষ্টিসহ নাস্তা নিয়ে রাঙামাটি থেকে আত্মীয়দের নিয়ে ভাগিনার শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন লিপি বেগম। পথে গহিরা নোয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লিপির। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চালকসহ আরও ৮জন। গতকাল ৬ ডিসেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাউজান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডস্থ গহিরা নোয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, লিপি বেগমের মরদেহ পড়ে আছে গহিরা জেকে মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে স্বজনেরা আহাজারী করছেন। ধুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা পেছনে পড়ে আছে মিস্টি সহ নানা রকমের নাস্তা। আহত হয়েছেন মোহাম্মদ আলী (৩৮), তার স্ত্রী ললিতা বেগম (২৮), তাদের ছেলে হাসান (০৭), হোসেন (০১), হাসনা বেগম (৩২), তার মেয়ে শারমিন আকতার (১৬), সিএনজি চালক মো. হান্নান (৩৫)। তারা সবাই পার্বত্য রাঙামাটি জেলার রাঙামাটি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দ। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রাঙামাটি থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি চালিত অটোরিকশটি চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়কের গহিরা নোয়ারাস্তার মাথা নামক এলাকায় ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৮জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গহিরা জে.কে মেমোরিয়াল হসপিটালে নেওয়া হলে লিপি বেগম নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে। আহত ৮জনের মধ্যে একই পরিবারের চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করা হয়। এরমধ্যে মোহাম্মদ আলী (৩৮), তার স্ত্রী ললিতা বেগম (২৮)এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে পালিয়ে যায় চালক মো. হান্নান। নিহত লিপি বেগমের ভাগিনা মো. ফারুক বলেন, আমি গত দেড় বছর আগে হাটহাজারী কাচা বাজার এলাকা থেকে বিয়ে করেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত ছিল, আমার স্ত্রী আগে থেকেই শ্বশুর বাড়ি যায়। আজ দাওয়াত শেষে আমার স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার কথা ছিল। এরমধ্যে এই দুর্ঘটনা। মামি মারা গেছেন, আমার ফুফা, ফুফি ও ফুফাতো ভাই-বোন, মামাতো বোনসহ ৬জন আহত হয়েছেন। রাউজান হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায়। একজন মারা যায়, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।