লাখ লাখ টাকার উৎস তসলিম উদ্দিনের ফলের বাগান

রাউজানের পশ্চিম ডাবুয়ায় কৃষক তসলিম উদ্দিনের মিশ্র ফলের বাগান ও মিশ্র সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ লক্ষ লক্ষ টাকার ফল ও সব্জি বিক্রয় করছে কৃষক তসলিম উদ্দিন। নিউজ চট্টগ্রাম

রাউজান উপজেলার ৩ নং চিকদাইর ইউনিয়নের চিকদাইর মাওলানা বদিউর রহমানের বাড়ীর বাসিন্দ্বা মৃত আবদুল লতিফের পুত্র তসলিম উদ্দিন (৩৭) একসময়ে হাটহাজারী সদরে কাপড়ের ব্যবসা করতো । গত ৭বৎসর পুর্বে কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে বাড়ীতে এসে বাড়ীর পাশে^ ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া এলাকায় ডাবুয়া খালের পাড়ে ৬ একর জমি জমির মালিক থেকে বৎসরে প্রতি একর ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে শুরু করেন কলাচাষ, পেপেঁ চাষ, বেগুন, কাকরল, তিত করল, আখ ক্ষেতের চাষাবাদ । একই সাথে ৪ একর জমিতে আমন ধান ২ একর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করে কৃষক তষলিমউদ্দিন । কৃষক তষলিম উদ্দিন তার মিশ্র ফলের বাগান থেকে পেপেঁ ও কলা কলা ও আখ বিক্রয় করে প্রতি বৎসর লাখ লাখ টাকা লাভ করে। সব্জি ক্ষেত থেকে ফুল কপি, বেগুন, ধন্যাপাতা, কাকরল, তিতকরল বিক্রয় করে কৃষক তসলিম লাখ লাখ টাকা লাভ করে। কৃষক তসলিম উদ্দিন জানান বর্তমানে এক একর ৬০ শতক জমিতে ২হাজার কলা গাছের বাগান রয়েছে । প্রতিটি কলা গাছে কলার ছাড়া এসেছে প্রতিটি কলার ছাড়া ৮শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রয় করবে ব্যৗবসায়ীদের কাছে । কৃষক তসলিম উদ্দিনের পেপেঁ গাছের বাগানে ১হাজার ৫শত টি পেপেঁ গাছ রয়েছে প্রতিটি পেপেঁ গাছে পেপেঁর ফলন এসেছে প্রচুর । প্রতি কেজি পাকা পেপেঁ ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করে হাটহাজারীর ফল ব্যবসায়ীরা এসে তসলিম উদ্দিনের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায় । প্রতিটি পেপেঁ গাছ থেকে ৬০ কেজি থেকে ১শত কেজি পেপেঁ উৎপাদন হয় । কৃষক তসলিম উদ্দিন পেপেঁ বাগানের মধ্যে বেগুন, কাকরল, তিতকরল ক্ষেতের চাষাবাদ করে তোলেছে । এছাড়া ও ৬০ শতক আয়তনের একটি পেপেঁ বাগানের মধ্যে রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদ্প্তরের সহায়তায় ১শত ২০ টি মাল্টা গাছের চারা রোপন করেছে । মাল্টা গাছগুলোতে ফলন এসেছে প্রচুর পরিমাণ । কৃষক তসীলম উদ্দিন পেপেঁ বাগানের মধ্যে শীতকালীন মৌসুমে ফুল কপি, ধনিয়া পাতা, পুই শাক, কাকরল, তিতকরল, বেগুন ক্ষেতের চাষাবাদ করে। শীতকালীন মৌসুমে তার ক্ষেত থেকে ফুল কপি, ধনিয়া পাতা,পুই শাক বেগুন বিক্রয় করে লাখ টাকা আয় করে বলে জানান কৃষক তসলিম উদ্দিন। শীতকালীন মৌসুম শেষ হওয়ার পর কৃষক তসলিম তার পেপেঁ বাগানের মধ্যে আবারো বেগুন কাকরল, তিতকরল, ক্ষেতের চাষাবাদ করে। প্রতিদিন রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে সব্জি ব্যবসায়ীরা এসে কৃষক তসলিম উদ্দিনের সব্জি ক্ষেত থেকে উৎপাদিত বেগুন কাকরল ও তিতকরল ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে রাউজানের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রয় করছেন । একই ভাবে রাউজান হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা এসে তসলিমের ফলের বাগান থেকে উৎপাদিত পেপেঁ ও কলা ক্রয় করে নিয়ে রাউজান হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে ফল বিক্রয় করছেন । কৃষক তষলিম উদ্দিন ৪০ শতক জমিতে আখ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছেন । কৃষক তষলিম উদ্দিন জানান গত বৎসর তার আখ ক্ষেত থেকে প্রতিটি আখ ৬০ টাকা করে ক্রয় করে নিয়ে নাজির হাট এলাকার আখ ব্যবসায়ীরা । এবৎসর ও কৃষক তসলিম উদ্দিনের আখ ক্ষেতে ২ হাজার আখ উৎপাদিত হবে । প্রতিটি আখ ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা করে আখ ব্যবসায়ীদের বিক্রয় করবেন বলে আশা করছেন কৃষক তসলিম উদ্দিন ।কৃষক তষলিম উদ্দিনের মিশ্র ফলের বাগান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদে ৬জন কর্মচারী স্থায়ীভাবে কাজ করে তাদের উর্পজিত টাকা দিয়ে ৬জন কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাচন্দে জীবন যাপন করছেন । কৃষক তষলিম উদ্দিন বলেন, কাপড়ের ব্যবসা থেকে মিশ্র ফল ও মিশ্র সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ লাভজনক হওয়ায় কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ফলবাগান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ ও আমন ধান, বোরো ধানের চাষাবাদ করে আসছি । রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, কৃষক তসলিম উদ্দিন একজন সফল কৃষক । কৃষক তসলিম উদ্দিনের মিশ্র ফলের বাগান ও সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ অনুসরন করে এলাকার বেকার তরুন যুবকদের আতর্œকর্মসংস্থান হওয়ার বিরল দৃষ্টান্ত । কৃষক তষলিম উদ্দিনকে রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে পাওয়ার টিলার পানির পাম্প, পনি সেচের পাইপ, মাল্টা গাছের বাগান করার জন্য ১শত ২০টি মাল্টা গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে ।