পাঁচ তারকা হোটেলে বসে সহিংসতার পরিকল্পনা করে দুর্বৃত্তরা: র‍্যাব

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচতারকা হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‍্যাব জানায়, আসামিরা গুলশানের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে বসে ঢাকা এবং সারা দেশে নাশকতার সব পরিকল্পনা করেছিল। তবে কোন হোটেল থেকে এসব করা হচ্ছে তার নাম বলেনি র‍্যাব।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- মো. জুয়েল আহম্মেদ (৫২), মো. ইফসুফ আলী ভুইয়া (৬৯), মো. মাসুম শিকারী (৪৫), হাবিবুর রহমান সেলিম (৪৮), মো. শফিউদ্দিন ভুইয়া (৫১), মো. শফিউদ্দিন ভুইয়া (৪৮), মো. মাসুকুল ইসলাম (৫৩), মো. শাকিল মিয়া (৪০), মো. আরমান মোল্লা (৪৬) ও মো. হাবিবুর রহমান (৫৪)।

বৃহস্পতিবার র‍্যাব সদরদপ্তরে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , এই ১০ জন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে ৩১শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইট-পাথর, ককটেল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। পাশাপাশি তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স, গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তারা ৩ জন পুলিশ সদস্যকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোসহ বিভিন্নভাবে গুরুতর জখম করে।

মঈন বলেন, পরে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে একপর্যায়ে নরসিংদী টু ঢাকাগামী কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ভাঙচুরসহ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে মহাসড়কে বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলা ও নাশকতার পর জড়িতরা রাজধানীর গুলশান ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও নামিদামী হোটেলে নিরাপদে আত্মগোপনের জন্য অবস্থান করেন। নামিদামী হোটেলে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল এবং বিভিন্ন সহিংসতা ও নাশকতায় সরাসরি অংশগ্রহণ করছিল। গুলশান এলাকার স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করে গ্রেপ্তারকৃতরা গুলশান এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।