সকালে এই ফলটি খেলে কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি

আপেল সারাবছরই পাওয়া যায়। সবার বাড়িতেও সাধারণ ফলের তালিকায় থাকে এটি। তবে আপেল কোন সাধারণ ফল নয়। এটি শরীরে অসাধারণ কাজ করে। গবেষণা বলছে রোজ সকালে দুইটি করে আপেল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য আপেল খাওয়া খুবই উপকারী। আপেলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমে থাকা খারাপ পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। জেনে নিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা-

১.অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত আপেল খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।

২. উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা সব বয়সী মানুষেরই হচ্ছে। শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াও জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে তরুণদের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে।

৩. কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তের ধমনীতে জমা হয় এবং রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। তাই আপেল আপনাকে এর থেকে মুক্তি দিতে পারে। যদি নিয়ম করে খেতে পারেন।

৪. আপেল বায়োঅ্যাকটিভ পলিফেনল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। আপেল খাওয়া শরীরের লিপিড বিপাক এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে।

৫. ২০১২ সালে আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৪ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একটি বা দুটি আপেল খাওয়া খারাপ কোলেস্টেরলকে অনেকাংশে কমাতে পারে। একটানা আপেল খাওয়ার পর এই গবেষণায় জড়িত মধ্যবয়সী মানুষের কোলেস্টেরলের মাত্রা ৪০ শতাংশ কমে গেছে। তবে সকালে ছাড়াও দিনের যেকোন সময় আপেল খাওয়া উপকার।

৬.গবেষকদের মতে, আপেলের মধ্যে যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা পলিফেনল যুক্ত ক্যাপসুল গ্রহণ করলেও আপেল খাওয়ার মত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেনি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও আপেল খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়।