নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার ওপর হামলা, নাগরিক সমাজের সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষ্পেষণে প্রেসিডেন্ট হোসে ডানিয়েল ওর্তেগা সাভাদ্রা শাসকগোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়ার কারণে এবার নিকারাগুয়ার মিউনিসিপ্যালিটির ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে এ দেশটির কমপক্ষে ১০০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, আগস্ট থেকে প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো খেয়ালখুশিমতো এবং প্রমাণহীন অভিযোগে সেন্ট্রাল আমেরিকান ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট্রাল আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। দেশটিতে এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উচ্চ শিক্ষার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। উপরন্তু নিকারাগুয়ানরা তাদের নিজেদের দেশে উন্নত ভবিষ্যত বিনির্মাণের যে আশা ও স্বপ্ন দেখেন, ওর্তেগা এবং মুরিলো নিরপেক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে তাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা নিকারাগুয়ার কমপক্ষে ১০০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। এর মধ্যে আছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতরা, নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বরের বিরুদ্ধে নিষ্পেষণ চালানো ব্যক্তিরা এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তরা। যারা নিজ দেশের নাগরিকদের মানবাধিকারের বিরুদ্ধে নিষ্পেষণ এবং তাদের সেই অধিকার প্রত্যাখ্যানের সঙ্গে যুক্ত তাদের যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে প্রবেশ আশা করা উচিত নয়। মুক্ত নাগরিক সমাজ এবং বিবেকের স্বাধীনতায় সমর্থন দেয়ায় বিশপ রোল্যান্ডো আলভারেজসহ যাদেরকে সাহস দেখানোর কারণে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে আবারও আমরা নিকারাগুয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। নিকারাগুয়ায় গণতন্ত্রের প্রতি বাধা হিসেবে যারাই থাকবেন তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে অব্যাহতভাবে উৎসাহিত করছি।

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, নিকারাগুয়ার জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।