শহীদ জননী আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় লড়েছেন

সমাজে নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু ধর্মীয়, জাতিগত সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা ও সন্ত্রাস বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে এখনও আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমাজ ও রাজনীতির সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। নারীর সমাজ অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হলে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নারীনীতি প্রণয়ন করেছিলেন সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

শুক্রবার (২৮ জুন) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে গণজাগরণযাত্রায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমাজের বিবেক জাগ্রত হোক নারী নির্যাতন ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে এবং মুক্ত হোক নারীর চলাচল’-এই প্রতিপাদ্যে গণজাগরণযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আমৃত্যু লড়েছেন এবং নারী জাগরণে অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন। জাহানারা ইমামের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত হতে হবে।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন-সুফিয়া কামাল, জোহরা তাজউদ্দিন, বেগম উমরতুল ফজল, নীলুফার কায়সার, প্রফেসর হামিদা বানু, প্রফেসর হান্নানা বেগম, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। নীলুফার কায়সারের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন কন্যা ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।

প্রফেসর ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে ও মো. অলিদ চৌধুরী এবং মিথুন মল্লিকের যৌথ সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে গণজাগরণযাত্রায় প্রধান বক্তা ছিলেন লেখক শওকত বাঙালি। আলোচনায় অংশ নেন ডা. মাহফুজুর রহমান, ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, প্রকৌশলী পরিমল চৌধুরী, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, স্বপন সেন, দীপংকর চৌধুরী কাজল, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী, মো. হেলাল উদ্দিন যুব, রেখা আলম চৌধুরী, হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, এ কে এম জাবেদুল আলম সুমন, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, নাজমুল আলম খান, ফারুক চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান জেবিন, মো. সাহাব উদ্দিন, রুবা আহসান, সূচিত্রা গুহ টুম্পা, আলাউদ্দিন বাবু, সনেট চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।