হোপেই টাইগারদের হতাশ করল

অপেক্ষা বাড়াল বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মাঝে দ্রুত চারটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। জমিয়ে তোলে ম্যাচ। কিন্তু শাই হোপের দৃড়তায় ৪ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে মাশরাফিরা। ম্যাচের শেষে ব্যাটিংয়ে খারাপ করা, আবার শেষটায় রান চেক দিতে না পারা। ওদিকে বেশ কিছু ক্যাচ ফেলার খেসারত দিতে হলো ম্যাচ হেরে। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরেজে ১-১ সমতা করল সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রথমে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে লিটন দাসের পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পেয়ে উঠে যাওয়া এবং ইমরুলের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ফিফটি তুলে নেন তামিম এবং মুশফিক। গড়েন ১১১ রানের জুটি। এরপর সাকিব দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। মাহমুদুল্লাহ করেন ৩০ রান।

তাদের ভালো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে যাচ্ছিল দল। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ ৩ ওভারে নিতে পারে মোটে ১৪ রান। এরমধ্যে শেষ দুই ওভার থেকে আসে মাত্র ৩ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ।

জবাবে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায়। এরপর শাই হোপ এবং ড্রারেন ব্রাভো ভালো জুটি করেন। ব্রাভো ফেরেন ২৭ রান করে। এরপর মারলস স্যামুয়েলস আউট হন ২৬ রানে। পরে হেটমায়ার এবং রোভম্যান পাওয়েল যথাক্রমে ১৪ ও ১ রানে তুলে নেয় বাংলাদেশ পেসাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭০ রানে ২ উইকেট থেকে ১৫৭ রানে ৫ উইকেট হয়ে যায়।

তবে আউট করা যায়নি উইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপবে। তিনিই শেষ পর্যন্ত আশা দিয়ে গেছেন দলকে। তার হার না মানা ক্যারিয়ার সেরা ১৪৬ রানের ইনিংসের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিল ৩৫ রান। মুস্তাফিজ ৪৭তম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। আশা দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ওভারে রুবেল দিয়ে বসেন ১০ রান। দুই ওভারে উইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২। ৪৯তম ওভারে ফিজ দেন ১৬ রান। ম্যাচ বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের হাত থেকে। শেষ ওভারে থাকা ৬ রান ২ রান থাকতেই তুলে নেয় তারা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি আগামী ১৪ ডিসেম্বর সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজের ফয়সালা হবে ওই ম্যাচে।