টেলিকম অপরাধকে জামিন অযোগ্য দেখতে চায় বিটিআরসি

টেলিযোগাযোগ খাতে এখন অনেক অপরাধ হচ্ছে। আইন যথেষ্ট শক্ত না হওয়ায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।

এ কারণে টেলিযোগাযোগ খাতের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

কমিশন এ বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের কথা জানিয়েছে।

টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির কাছে সম্প্রতি তাদের সুপারিশ তুলে ধরেছে কমিশন।

বিটিআরসি’র আইন বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধ বাড়ছে। আইন কঠোর না হওয়ায় তারা কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। এমন কি শতশত কোটি টাকা বকেয়া ফেলে রেখেও আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরপরও কমিশন আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারছে না।

এ জন্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা কঠোর করার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।

সুপারিশে কমিশনারদের মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, একটি খাতের সব কিছু বুঝে উঠে যথাযথভাবে কাজ করার জন্য তিন বছর যথেষ্ট সময় নয়। তাই আরও দু’বছরের জন্য বাড়তি নিয়োগ পাওয়া গেলে সেটি কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা তৈরি করবে।

এর মাধ্যমে সরকারও বারবার কমিশনার নিয়োগের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারে।

কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায়ই দেখা যায় কমিশনারের অনেকগুলো পদও শূন্য থাকে। তখন নিয়মিত কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

বর্তমানে বিটিআরসিতে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যানসহ মোট পাঁচ কমিশনারের পদ রয়েছে।

এ দুটিসহ আরও কিছু বিষয়ে সম্প্রতি নিজেদের মতামত কমিটির কাছে তুলে ধরলেও এসব প্রস্তাবের কতোটা আমলে নেওয়া হবে সে বিষয়ে কমিশনের ধারণা নেই।

আইন সংশোধনের যাচাই-বাছাই কমিটি বিটিআরসিসহ আরও অনেকগুলো সংস্থার কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামত নিচ্ছে। সব মতামত একত্রে করে তারা আইন হালনাগাদ করতে খসড়া চূড়ান্ত করবেন। এরপর সেটি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষে সংসদে উঠবে। সেখানে পাস হলে তা আইনে পরিণত হবে।