ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, ত্রাণের জন্য বন্যার্ত মানুষের হাহাকার

হুহু করে বাড়ছে বানের পানি। উজানের ঢলে ফুসে উঠেছে প্রমত্ত তিস্তা। বানের পানিতে ভাসছে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম, আদিতমারী, সদরসহ ৫টি উপজেলার ২০ হাজার পরিবার। শুক্রবার সকাল থেকে আরও বাড়ছে পানি। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

এদিকে বন্যা করলিত মানুষের মাঝে নেই ত্রান। ত্রানের অভাবে হাহাকার করছেন এই এলাকার বানভাসি ৫০ হাজার মানুষ। খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গড্রিমারী, পারুলিয়া, ডাউয়াবাড়ী, মহিষখোচাসহ বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকার পরিবারগুলো ঘড়-বাড়ি ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল জানান, তার ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী। হাতিবান্ধার গড্রিমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ওই ইউনিয়নে ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী। তবে ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, বন্যার্ত পরিবারের মাঝে বরাদ্দ না দেয়ায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।

শুকনা খাবার দ্রুত না দিলে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, বন্যার্তদের মাঝে ১০৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা হয়তো রোববার থেকে বিতরণ করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছে, তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে। বন্যার পানি, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার দিকে যাচ্ছে।