দ. আফ্রিকায় সোনার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৩১

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণে অন্তত ৩১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এক মাস আগে এই ঘটনা ঘটলেও তা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার প্রথমবারের মতো বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। বিস্ফোরণ দক্ষিণ আফ্রিকায় হলেও নিহতরা সবাই প্রতিবেশি লোসোথোর নাগরিক। খবর ডয়চে ভেলের।

খবরে জানানো হয়, রাজধানী জোহানেসবার্গ থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরের ভার্জিনিয়া অঞ্চলের একটি সোনার খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। একমাসেরও বেশি সময় আগে গত ১৮ মে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার বলছে, তারা এক মাস পর এই বিস্ফোরণের তথ্য পেয়েছে। তারা এই ঘটনাকে ‘অদ্ভুত’ বলে বর্ণনা করেছে।

দেশটির মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের দাবি, সোনার খনিটির ভেতরে চলাচলের জায়গায় অতিরিক্ত মাত্রায় মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি ছিল। এই মুহূর্তে সেখানে অনুসন্ধানী দল পাঠানোয় ঝুঁকি রয়েছে। তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সম্ভাব্য নানা উপায় পর্যালোচনা করে দেখছি।

নিহতদের সবাই প্রতিবেশি রাষ্ট্র লেসোথোর নাগরিক।
লেসোথোর শ্রমিকদের দক্ষিণ আফ্রিকার খনিতে কাজ করার বিষয়টি নতুন নয়। দেশটির হাজার হাজার শ্রমিক দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিসহ সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যান্য খনিতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি শ্রমিকদের সহায়তায় অন্তত তিনটি মৃতদেহ খনি থেকে বের করা হয়েছে। সে হিসেবে খনিতে আরো ২৮ জনের মৃতদেহ রয়েছে।

লেসোথোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থিত দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসকে এ বিষয়ে গত ১০ই জুন অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার কেন বিষয়টি জানাতে দেরি করেছে তা বোধগম্য নয়। লেসোথোর প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র জানান, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে এবং দেশে ফেরত আনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।