রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়াগনারের বিদ্রোহ, প্রিগোঝিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে এক নাটকীয় লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি ওয়াগনার গ্রুপ। গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন সশস্ত্র বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছেন এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রিগোঝিনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। অন্যদিকে প্রিগোঝিন ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি যে কোন মূল্যে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। এরই মধ্যে তিনি ইউক্রেন থেকে সীমান্তের লাগোয়াবর্তী রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন এবং একটা রাশিয়ান হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছেন বলে দাবি করছেন।

এদিকে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইয়েভগেনি প্রিগোজিন একটি নতুন ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে, রাশিয়ান শহর রোস্তভ-অন-ডনের সমস্ত সামরিক সাইট ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। টেলিগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওতে ওয়াগনার প্রধান আরও বলেছেন যে তিনি এবং তার লোকেরা রোস্তভ-অন-ডনের সামরিক সদর দপ্তর দখল করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং মস্কোর রাস্তায় সামরিক ট্রাক মোতায়েন শুরু হয়েছে। ওয়াগনারের ৬২ বছর বয়সী প্রধান প্রিগোঝিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধের কৌশল নিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নেতৃ্ত্বের সমালোচনা করে আসছিলেন। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, তার দলের সৈন্যদের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যদিও অভিযোগের পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাননি।

তবে যারা এই হামলা করেছে তাদের শাস্তি দেয়ার শপথ নেন তিনি।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মিসাইল হামলার কথা অস্বীকার করে এবং প্রিগোঝিনকে সবরকম ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধের আহবান জানায়। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ এনেছে ক্রেমলিন। তবে কোন সামরিক অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করেছেন ওয়াগনার দলনেতা। শনিবার সকালে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় ওয়াগনারের সৈন্যরা রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডনে প্রবেশ করছে। তবে এই ভিডিও সত্যতা যাচাই সম্ভব হয়নি।

আরেক ভিডিওতে দেখা যায় সশস্ত্র সৈন্যরা এক সরকারি ভবন ঘিরে রেখেছে এবং দুটি ট্যাংক থেকে অস্ত্র তাক করে রাখা হয়েছে। রয়টার্স বলছে এটি পুলিশ হেডকোয়াটার্স ভবন। প্রিগোঝিন বলছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ভেতর যে ‘শয়তান’ আছে তাদের থামাতে হবে এবং তিনি ‘ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই’-এর ঘোষণা দিয়েছেন।