প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে

চট্টগ্রামে  নিরাপদ অভিবাসন ও বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে  ‘নিরাপদ অভিবাসন ও বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ’ শীর্ষক সেমিনার আজ তাদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ জুন ( মঙ্গলবার ) সকালে  জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সম্মেলন কক্ষে  সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে  প্রধান অতিথি হিসেবে  বক্তৃতা করেন ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মহেন্দ্র চাকমা,  প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ফেরদৌস খায়ের, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, পিআইডি চট্টগ্রামের তথ্য অফিসার জি. এম সাইফুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। এছাড়া ব্র্যাক, ইপ্সা, প্রত্যাশী, স্বপ্নীল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন প্রভৃতি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিগন সেমিনারে নিরাপাদ অভিবাসন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। সভার শুরুতে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক নিরাপদ অভিবাসনের করনীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতকরণ, নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান ও বিদ্যমান শ্রমবাজার স¤প্রসারণ, অভিবাসন ব্যয় হ্রাসসহ অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা অন্যতম। পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অধিক হারে অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। সেমিনারে আরো বলা হয়, প্রবাসীদের দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু, মৃত প্রবাসীর দাফন কাফনের জন্য তাৎক্ষণিক ৩৫ হাজার টাকা প্রদান, অসুস্থ্য প্রবাসী পরিবহন ও বিদেশগামীদের বিনাশর্তে  প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। সেমিনারে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ করে দেশের উন্নয়নে সরকারের সহযোগী শক্তি হওয়ার আহŸান জানানো হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত সব পদক্ষেপ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। তৃণমূলের মানুষকে সরকারের সেবা বিষয়ে অবহিত করতে হবে। বিশেষ করে বিনাশর্তে ঋণ প্রদানের বিষয়টি মানুষ অবগত হলে সহায় সম্বল বিক্রি করে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। এছাড়া ট্রেনিং সেন্টারগুলোকে তাদের কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনয়নের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে প্রয়োজনীয় সম্মান প্রাপ্তির পাশাপাশি উপয্ক্তু বেতন পাওয়া যায়। কাজেই বিদেশ গমনেচ্ছুদের দক্ষ করে বিদেশ পাঠাতে হবে।