উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় মেয়র
নগর সেবায় নিয়োজিত সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সাথে নগরবাসীর সম্পৃক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি আজ বিকেলে চসিক মিলনায়তনে ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের শান্তিবাদ শ্যামলী,বসুন্ধরা ও রমনা আবাসিক এলাকার ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ এর কর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম মানিক, রাজনীতিক আলহাজ্ব হাজী বেলাল আহমদ, আলী আহমদ সরকার, তওহীদুল ইসলাম বাবু, আহসান হাবিব আহসান, মোশারফ হোসেন, শাহজাহান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র আরো বলেন, এ নগর আমাদের, এখানে আমারা জন্মগ্রহণ করেছি। এ নগরকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই। বিশ্বমানের একটি নগর গড়ার গুরু দায়িত্ব নগরবাসীর। তাই নগরের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকান্ডে নগরবাসীর সম্পৃক্ততা ব্যতিত কাংখিত উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলা অসম্ভব । তিনি বলেন জলাবদ্ধতা নগরবাসীর জন্য অভিশাপ। পূর্বেকার সময়ে নগরে জোয়ারের ও বৃষ্টির পানি ধারণ করার জন্য নগরীত পর্যাপ্ত পরিমান জলাশয়,ডোবা, খাল-বিল ও পুকুর ছিল। এগুলোতেই জোয়ারের ও বৃষ্টির পানি ধারণ করত। ফলে নগরীতে তখনকার সময়ে জলজট সৃষ্টি হত না। পরিকল্পিত একটি নগরে ১২ শতাংশ জলাশয় থাকা দরকার। বর্তমানে ১ শতাংশও জলাশয় নেই এই নগরে। এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সিডিএ এবং প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জনসচেতনতা মূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচারে কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিচ্ছন্ন শহরের বিকল্প নেই। তাই নগরবাসীকে গৃহস্থালির ময়লা আবর্জনা সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ মেয়রের। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন এবং জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম শহর গড়ে তুলি। তিনি বলেন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্টান নগরীর নালা- নর্দমা পরিস্কার এবং খাল খনন করা হলো, আর আমরা আমাদের গৃহস্থালির ময়লা আবর্জনা তাতে ফেললাম । পরিস্কার , খনন করে লাভকি হলো তা উপস্থিত নগরবাসীর কাছ থেকে জানতে চাইলেন মেয়র। নগরবাসীর অভ্যাস পরিবর্তন এবং জনসম্পৃক্ততা,জনসচেতনতা ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন অসম্ভব। তাই আমাদের শহরকে আমাদের সন্তানের মত লালন পালন করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন । চসিক ধারাবাহিক কর্মসূচি জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাস,মাদক ও দূর্ণীতি বিরোধী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন , আপনার ,আমার সন্তান কি করে? তা আপনাকে আমাকেই খোঁজখবর রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে পরিবার কর্তার ভুমিকা অপরিসীম। তাই জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস মাদকাসক্ত প্রভৃতি অপরাধ থেকে আগামী প্রজন্মকে বেরিয়ে আনার জন্য প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন ।